ফল-ফসলে বাড়ছে ক্ষতিকর কীটনাশকের ভয়াবহ ব্যবহার
মানবস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্য হুমকিতে, কৃষি জমিতে বছরে ব্যবহার হচ্ছে ৮৫ হাজার ৭৪২ টন কীটনাশক যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা
প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
আলতাব হোসেন
জনবহুল দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে শস্য নিবিড়তা ক্রমেই বাড়ছে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি জমিতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে কীটনাশক। কীটনাশকের ব্যবহারে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। এর যথেচ্ছা ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি করছে, তেমনি কীটনাশক খেয়ে ফেলছে মাটির উবর্রতা শক্তি। বছরে কেবল কৃষি জমিতেই ব্যবহার করা হচ্ছে ৪০ হাজার টনের বেশি কীটনাশক। যার বড় একটি অংশ কোনো না কোনোভাবে যাচ্ছে মানব শরীরে। এতে মানুষ যেমন নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ছোট মাছ, মারা যাচ্ছে সাপ, ব্যাঙ ও পাখিসহ নানা ধরনের প্রাণী।
কীটনাশক জমিতে দেওয়ার ফলে শস্যের উপকারী পোকা-মাকড়, ফড়িং শেষ হওয়ার পথে। এর ফলে, তা কৃষিমাঠ থেকে ঘর পর্যন্ত মানুষের সর্বনাশ ডেকে আনছে। উচ্চবিষযুক্ত ১২টি কীটনাশকের প্রভাবে গত ৫০ বছরে পুরুষ ও মহিলার সন্তান উৎপাদনক্ষমতা শতকরা ৪২ ভাগ কমে গেছে। মানুষের রক্ত, মাংসপেশি ও মায়ের দুধে কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে। কীটনাশকের প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিচ্ছে। কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, লিভার, পিত্ত, পাকস্থলীর রোগের অন্যতম প্রধান কারণও অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার। জানা গেছে, টমেটো পাকানো, রঙিন ও সংরক্ষণের জন্য রাইপেন, ইথোপেন, টমটমসহ বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক পদার্থ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। দেশে কীটনাশকের ব্যবহারও খুব দ্রম্নত বাড়ছে। কীটনাশক ব্যবহারে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে কৃষিপণ্য। এর মাধ্যমে ঘরে-বাইরে ডেকে আনা হচ্ছে সর্বনাশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবজি, ফলসহ কৃষিপণ্যগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার বায়ু, পানি, মাটি, সব ক্ষেত্রেই দূষণ বাড়াচ্ছে। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও মানুষের দেহে। অপর দিকে কীটনাশক জমিতে দেওয়ার ফলে শস্যের উপকারী পোকামাকড় শেষ হওয়ার পথে।
প্রায় ৯৮ ভাগ শাকসবজিতেই কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। বলা যায়, কৃষিপণ্যে উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত প্রত্যেক পর্যায়ে কীটনাশক নামে বিষ মেশানো হচ্ছে। ফলে কৃষি খাদ্যপণ্যে ব্যাপক হারে বিষাক্ত রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, কীটনাশক প্রয়োগে ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত ফল-সবজিতে বিষাক্ততা থাকে; যা রান্নার তাপেও নষ্ট হয় না। কিন্তু দেখা যায়, বালাইনাশক প্রয়োগের ২ থেকে ৩ দিন পরই শাকসবজি সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হয়। ফলে বিষাক্ত শাকসবজি নিয়মিত খেতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার মতে, বর্তমানে ১৬৯টি দেশি-বিদেশি কোম্পানি বালাইনাশক আমদানি করছে। নিয়ম না মেনে বালাইনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ইকবাল কবীর জানান, সবজিতে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ, চর্মরোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি কিডনিরোগসহ মানবদেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে পারে। মানুষের দেহে কীটনাশকের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কারণে সন্তানসম্ভবা মায়েদের গর্ভপাতজনিত সমস্যা এবং প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তার মতে, শাকসবজি কাটার আগে ও পরে ভালো করে পানিতে পরিষ্কার করলে বিষাক্ততা কিছুটা কমে তবে পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হয় না। এ কারণে শাকসবজির ক্ষতিকর পোকা ও রোগ দূর করার জন্য বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পস্ন্যান্ট প্রটেকশন বিভাগের এক সূত্র বলছে, ধারাবাহিক কীটনাশ প্রয়োগে নষ্ট হয় মাটির গুণাগুণ। মরে যায় উপকারী অনুজীব। অন্যদিকে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে ঢুকে তৈরি করে ক্যানসার-হাঁপানির মতো জটিল রোগ্যব্যাধি। এ ছাড়াও নিষিদ্ধ হিলডন, ডিডিটি, বিস্নচিং পাউডারসহ বহুবিধ বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে। কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করা না হলে কীটনাশক ব্যবহার ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। কীটনাশক দূষিত পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে- যা কৃষিজমিতে মিশে উৎপাদিত শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যেও প্রাকৃতিকভাবেই মিশে যাচ্ছে। এতে করে বায়ু, পানি, মাটিসহ জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি কীটনাশক মাছ, পাখি এবং অনেক গাছপালা ধ্বংসের জন্যও দায়ী।
প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিপিএ) তথ্য মতে, তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৪৫ হাজার ১৭২ টন রাসায়নিক কীটনাশক দ্রব্য ফসলে ব্যবহার হচ্ছে। এ পরিমাণ গত ১০ বছরের চার গুণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাক্কলনে, সানটাপ, পুরাটাপ, সায়পারম্যাথিন নামের কীটনাশকগুলো বাজারে বিক্রির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। এসব কীটনাশক ধানে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ এসব কীটনাশক কৃষকরা সবজি উৎপাদনেও ব্যবহার করছেন। আলু আবাদের সময় ডিডিটি ব্যবহার করা হয়। এটির প্রভাবে বহুবিধ জলজপ্রাণীর শুককীট ধ্বংস হয়ে যায়। এ ছাড়া এর মাধ্যমে বছরে কম করে হলেও ৪০ থেকে ১৪০টি প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশকের ব্যবহারের প্রয়োজন আছে, তবে তা নিয়ম মেনে এবং মাত্রার মধ্য থেকে ব্যবহার করা দরকার। কিন্তু আমাদের দেশে কীটনাশক ব্যবহারের কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না।
কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বছরে যে ৪০ হাজার টন কীটনাশক আমদানি করা হচ্ছে তার ৬০ ভাগই ব্যবহার হয় ধান উৎপাদনে। যা কোনো না কোনোভাবে মানবদেহে প্রবেশ করছে। বর্তমানে দেশে ৮ ধরনের ২২৮টি মাকড়শানাশক, ৭৯ ধরনের ১০১৫টি ছত্রাকনাশক, ২৫৮৮ ধরনের কীটনাশক, ৫১ ধরনের ৬৯১টি আগাছানাশক, ২ ধরনের ১৩টি ইঁদুরনাশক, ৮৮ ধরনের ৭১৭টি জনস্বার্থ কীটনাশক রয়েছে। গুদামজাত শস্যেও পোকা দমনের জন্য ৪ ধরনের ৮৯টি কীটনাশক রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৫৩৫৯ ধরনের পেস্টিসাইড বাজারে সরবরাহ হয়। এগুলো কোনোরকম মনিটরিং ছাড়াই সর্বত্র বিক্রি হয়। সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকরা অনায়াসে ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ফুড সেপটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) নমুনা সংগ্রহ জরিপে রাজধানীসহ সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, কাপাসিয়া, গাজীপুর, কালিয়াকৈর, কেরানীগঞ্জ ও নরসিংদীসহ কয়েকটি বাজারের ফুলকপি, বেগুন, শিম, লালশাকে মারাত্মক আকারে কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষায় ২৭টি ফুলকপির মধ্যে ৮টিতে ম্যালাথিয়ন, ক্লোরোপাইরিফস, প্যারাথিয়ন মিথাইল ধরনের কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে। এসব ফসলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ১৩ থেকে ২৬ গুণ পর্যন্ত বেশি বিষক্রিয়া রয়েছে। প্রতি কেজি ফুলকপিতে ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ম্যালথিয়ন সহনীয় মাত্রার হলেও পাওয়া গেছে ৭২৯ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। বেগুনের ২৭টি নমুনার মধ্যে ১২টিতে ১৪ গুণ বেশি কুইনালফস উপাদান রয়েছে। প্রতি কেজি বেগুনে ১০ গ্রাম কুইনালফস সহনীয় হলেও ১২৪.২৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। পোকামাকড় দমনের জন্য সহজ উপকরণ হিসেবে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করছেন কৃষকরা। গবেষণায় দেশের শস্যক্ষেতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির ৬০৭টি পোকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র ২৩২টি বা ৩৮ শতাংশ পোকা ফসলের জন্য ক্ষতিকর। বাকি ৬২ শতাংশ পোকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফসলের উপকার করে। এর মধ্যে ১৮৩টি বা ৩০ শতাংশ পোকা সরাসরি ফসলের জন্য উপকারী। আর ১৯২টি বা প্রায় ৩২ শতাংশ পোকা ক্ষতিকর পোকা খেয়ে অথবা পরজীবী ও পরভোজী হিসেবে ফসলের উপকার করে। কিন্তু কীটনাশকের যথেচ্ছা ব্যবহারের ফলে উপকারী এসব পোকাও ধ্বংস হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো মানুষের খাদ্যচক্রে ঢুকে পড়ছে। বিশেষ করে শাকসবজিতে যেভাবে কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। শস্যের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গিয়ে ধীরে ধীরে শস্যকে অনিরাপদ করে তোলা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ কীটনাশকের বিষাক্ততায় আপ্রন্ত হয় এবং প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হয় কীটনাশকের কারণে। কিডনি রোগ, লিভারের রোগ, ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট বাড়ছে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে। কীটনাশক ব্যবহারের নিয়ম জানে না কৃষকরা। সবুজ, হলুদ ও লাল এই তিন ধরনের কীটনাশক বাজারে পাওয়া যায়। শাকসবজিতে পোকামাকড় আক্রমণ ঠেকাতে সবুজ কীটনাশক দেওয়ার নিয়ম। আর হলুদ কীটনাশক পোকামাকড় বা রোগবালাই বেশি হলে দিতে হয়। লাল রঙের কীটনাশক ধানক্ষেতের জন্য। কিন্তু দেখা যায় অসাধু ব্যবসায়ীরা লাল কীটনাশক শাকসবজিতে ব্যবহারের জন্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করেন। কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ না শুনে বিক্রেতাদের পরামর্শে শাকসবজির ক্ষেতে এসব ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করেন। এতে শাকসবজির নামে বাজার থেকে ক্রেতারা বিষ কিনে থাকেন। আর এসব খেয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল রোগে।
কীটনাশক তৈরি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিপস্নব ঘটে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। বস্তুত, এ সময় ডিডিটি ও বিএইচসি নামে দুটি রাসায়নিক কীটনাশকই বিস্ময় সৃষ্টি করে বিশ্বজুড়ে। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমনে এ দুটি কীটনাশক অবিশ্বাস্য রকমের ফল দেয়। আর তাতে রক্ষা পায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, ফুল ও ফলের বাগান। কিছু দিনের মধ্যেই ডিডিটি ও বিএইচসি প্রাণিজগতের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দেয়। এসব কীটনাশকের বিষে মরেছে অগণিত উপকারী কীটপতঙ্গ। ধান, পাট ও গমের ক্ষেতে ছিটানো কীটনাশকের বিষ বৃষ্টি, সেচ ও পানিতে পুকুর ও জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। এতে মাছ আক্রান্ত হয়। আর সেসব মাছ মানুষ খেয়ে ভুগেছে নানা জটিল রোগে। গবেষণায় দেখা যায়, ডিডিটি প্রকৃতিতে কোনোভাবেই বিনষ্ট হয় না, এদের বিষক্রিয়া থেকে যায় যুগ যুগ ধরে।
দেশের ২০ হাজার কোটি টাকার কীটনাশকের বাজারের মধ্যে দানাদার কীটনাশক ছাড়া প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। কীটনাশকের প্রায় ৯৮ শতাংশই বিদেশনির্ভর। এতে কৃষির লাভ-ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একচেটিয়া ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিনজেন্টা। অন্য বহু জাতিক কোম্পানিগুলো হলো- বায়ার ক্রপ সায়েন্স, ইউপিএল, বিএএসএফ, হাইছেম, ইন্ডোফিল, ফরোয়াড। এ ছাড়াও বালাইনাশক ব্যবসা করে দেশের ৭০০টি কোম্পানি। দেশে বালাইনাশক কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ক্রপস প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশন বা বিসিপিএর যাত্রা শুরু করে ১৯৭৬ সালে। বহু জাতিক কোম্পানিগুলোসহ ৭০০টি কোম্পানির মালিকরা সদস্য। অন্যদিকে, ২০২২ সালে স্থানীয় ম্যানুফাচারার্স বা উৎপাদকদের নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএএমএ) গঠন করা হয়। যার সদস্য সংখ্যা ২৩ জন।
সারাদেশে ব্যবহৃত কীটনাশকের মধ্যে কয়েকটি অতি উচ্চমাত্রার বিষাক্ত 'ডার্টি ডজন', 'পপস্' বা 'ন্যস্টি নাইন' নামে পরিচিত। এদের সংখ্যা ১০ থেকে ২০টি। শিল্পোন্নত দেশগুলোতে এসব কীটনাশক নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশে এগুলো দেদারছে ব্যবহার হচ্ছে। ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে লাল তালিকাভুক্ত চরম বিষাক্ত কীটনাশকগুলো নিষিদ্ধ। আমাদের দেশে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফার জন্য এসব অতি ক্ষতিকর কীটনাশক আমদানি ও বাজারজাত করছে।