দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে ইউক্রেন-ইউরোপের

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভস্নাদিমির পুতিন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের এ ধরনের একতরফা কূটনৈতিক পদক্ষেপকে কিয়েভের কর্মকর্তারা ইউক্রেনের স্বার্থ উপেক্ষা করার শামিল বলে মনে করছেন। গত ১২ ফেব্রম্নয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্‌লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তবে এই আলাপের আগে ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফোনালাপের পরপরই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা 'তাৎক্ষণিকভাবে' শুরু হবে এবং তিনি হয়তো সৌদি আরবে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন। ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লেখেন, ইউক্রেনের চেয়ে শান্তি কেউ বেশি চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা রুশ আগ্রাসন থামানো ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, চলুন, এটি সম্পন্ন করি। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এই উদ্যোগের ফলে যুদ্ধবিরতির নামে রাশিয়ার স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে এবং ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অনেক বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তারাও মনে করছেন, ট্রাম্প একতরফাভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছেন। অথচ তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো প্রতিদান আদায় করতে পারেননি।