যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি)। সদস্য দেশগুলোকে এই নিষেধাজ্ঞা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আইসিসি বলেছে, "ট্রাম্পের পদক্ষেপ এই আদালতের স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন বিচারকাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করারই চেষ্টা।" মিত্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জেরে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) ওপর বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। তার সই করা নির্বাহী আদেশে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতটি যুক্তরাষ্ট্র ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলকে লক্ষ্য করে বেআইনি ও ভিত্তিহীন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরকালে ট্রাম্প এ আদেশ সই করেন। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আমেরিকান নাগরিক বা তাদের মিত্রদের নিয়ে আইসিসির তদন্তে সহযোগিতা করা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ হবে।
বিবিসি জানায়, আইসিসি ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে আদালতের স্টাফদের পাশে থাকা এবং বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। আদালতটি এক বিবৃতিতে বলেছে, "আইসিসি বিশ্বজুড়ে নির্মমতার শিকার লাখো নিরপরাধ মানুষকে ন্যায়বিচার দিয়ে যাবে এবং আশা জোগাবে।" "আমরা আমাদের ১২৫ টি সদস্যরাষ্ট্রকে, নাগরিক সমাজকে এবং বিশ্বের সব দেশকে ন্যায়বিচার ও মৌলিক মানবাধিকারের জন্য একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি," বলা হয় বিবৃতিতে। যুগোস্স্নাভিয়ার পতন ও রুয়ান্ডা গণহত্যার প্রেক্ষাপটে, নিপীড়ন-নির্যাতন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২০০২ সালে আইসিসির যাত্রা শুরু হয়।