কাতারে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা। তবে হিব্রম্ন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্না নিউজ জানিয়েছে, কাতারে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তিন ধাপের এ চুক্তিটির প্রথম ধাপের মেয়াদ ৪২ দিন। তবে প্রথম ধাপের ১৬ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে বলে চুক্তিতে উলেস্নখ আছে। সে হিসেবে সোমবার হবে ১৬তম দিন। নেতানিয়াহু যদি শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধিদের কাতার না পাঠান তাহলে এটি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হবে। এক জ্যেষ্ঠ ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির দ্বিতীয়ধাপ কার্যকরের ক্ষেত্রে 'বিষয়টি খুবই চিন্তার'। তবে আশা করি এটি ৪২ দিনের প্রথম ধাপটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। নেতানিয়াহু দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদের যেতে না দিয়ে, আবারও যুদ্ধ শুরুর চক্রান্ত করছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হলে হামাস গাজা থেকে সব জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে, ইসরায়েল অসংখ্য ফিলিস্তিনি বন্দিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে এবং দখলদার ইসরায়েলের সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। ওয়ালস্না নিউজ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়া, শিন বেত প্রধান রোনেন বার ও জিম্মিদের পয়েন্ট ম্যান নিটজান অ্যালনসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা ছিল নেতানিয়াহুর। কিন্তু তিনি তার সামরিক সচিব রোমান গোফম্যানের মাধ্যমে তাদের বার্তা দেন, তিনি কাতারে প্রতিনিধি দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হবে নেতানিয়াহুর। এই বৈঠকের আগে তিনি যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কোনো কাজ করতে চান না।