বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

হঠাৎ উল্টো সুর : প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় ক্ষমতাসীন দলও

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
হঠাৎ উল্টো সুর : প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় ক্ষমতাসীন দলও

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান দেশটির প্রেসিডেন্ট হ্যান ডং-হুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পদত্যাগের বিষয়টি সমর্থন করেছেন। কারণ চলতি সপ্তাহেই তিনি দেশে সামরিক আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিলেন। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর তিনি বলেছেন, এখনো 'ভয়ংকর ঝুঁকি' আছে, কারণ প্রেসিডেন্ট আবার বেসামরিক শাসনকেও ধ্বংস করতে পারেন। তথ্যসূত্র : এএফপি

ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান ডং-হুন শুক্রবার সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইওল দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টি প্রধান ডং-হুন আরও বলেছেন, শনিবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনপ্রণেতা সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

তবে, বৃহস্পতিবার হ্যান যে কথা বলেছিলেন, তা থেকে সরে এসে এখন পুরোপুরি উল্টো কথা বলছেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, 'প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে আমরা তার পক্ষে অবস্থান নেবো।' এছাড়া আরও এক নেতা বলেছিলেন, শনিবারের ভোটাভুটিতে ইওলের পক্ষ নিতে ১০৮ জন সদস্য প্রস্তুত আছেন।

উলেস্নখ্য, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন (ইমপিচ) করা সম্ভব। অর্থাৎ, ৩০০ জনের পার্লামেন্টে ২০০টি ভোট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেতে হবে। এর মধ্যে বিরোধী জোটের ১৯২ জন এমপি অভিশংসনের প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। ফলে তাদের ভোট এমনিতেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যাবে।

গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইওল জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। কিন্তু, তার এই ঘোষণার পরপরই প্রধান বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণ পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে রাখে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তারা প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করলে স্পিকার ভোটাভুটির আয়োজন করেন এবং প্রেসিডেন্টের এই প্রচেষ্টাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট সামরিক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

উলেস্নখ্য, সামরিক আইন জারির কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইওল বলেছেন, পার্লামেন্টে উত্তর কোরিয়াপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তিনি কোনো আইনই পাস করতে পারছিলেন না। পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আসন সংখ্যা ১৭০টি।

যদি অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয় হয়ে যায়, তবে সাংবিধানিক আদালতের রায়ের জন্য তা অপেক্ষমাণ থাকবে। এরপর যদি বিচারকরা রায় দেন, তখন ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন কার্যকর হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে