মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

দিলিস্ন বিধানসভায় জোটের সঙ্গী হবেন না কেজরিওয়াল

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দিলিস্ন বিধানসভায় জোটের সঙ্গী হবেন না কেজরিওয়াল
আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ভারতের রাজধানী দিলিস্নর বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তাতে একাই লড়বে শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ)। রোববার এমনটাই জানালেন দলের সর্বোচ্চ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে কোনো জোটের সঙ্গে থাকছে না আপ। অর্থাৎ, সবক'টি কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে তারা। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে 'ইনডিয়া'র শরিক হয়েছিল আপ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। লোকসভায় আপের ভরাডুবি হয়েছে দিলিস্নতে। সব আসনেই বিজেপি জিতেছে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে জোটে না থাকার কথা ঘোষণা করে দিলেন কেজরি। ফলে আরও একবার ধাক্কা খেল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট 'ইনডিয়া'। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

আগামী বছরের শুরুতেই দিলিস্নতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফেব্রম্নয়ারির আগেই ভোট হতে পারে। তার আগে এখন দেশটির রাজধানীর রাজনীতিতে পারদ ঊর্ধ্বমুখী। চলছে নেতাদের দলবদলও।

সম্প্রতি একাধিক বড় মাপের নেতা আপ ছেড়ে অন্য দলে গেছেন। আবার অনেকে কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শাসকদলে। এর মাঝেই রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে কেজরিকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, দিলিস্নর বিধানসভা নির্বাচনে আপ কোনো জোটে থাকবে না। একা লড়াই করবে।

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে 'ইনডিয়া'। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেখানে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত) জোট 'মহাজুটি'। যদিও ঝাড়খন্ডে 'ইনডিয়া' জিতেছে। কিন্তু 'ধারে ও ভারে' ঝাড়খন্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকা মহারাষ্ট্রে জিততে না পারা 'ইনডিয়া'কে পিছিয়ে রেখেছে। এবার দিলিস্নতে কেজরির 'একলা চলো' নীতি নতুন করে ধাক্কা দিল বিরোধী জোটকে।

'ইনডিয়া'কে অবশ্য এই প্রথম 'না' করলেন না কেজরি। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে পাঞ্জাবে আপ একা লড়বে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। হরিয়ানার ভোটেও কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো আসন সমঝোতা হয়নি আপের। দিলিস্নর বিধানসভা ভোটেও একার লড়াইয়ের ওপরেই আস্থা রাখছেন কেজরি।

দিলিস্নর আবগারী দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। ফলে কেজরি হয়েছিলেন ভারতের ইতিহাসে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাকে পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর দীর্ঘদিন তিনি জেলে ছিলেন। অবশ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে