যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব

আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের হামলা লেবাননে :নিহত ৩১

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতিসংঘসহ বিশ্বের অধিকাংশ পশ্চিমা দেশের চোখ ইসরায়েলের দিকে। কারণ, মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হিজবুলস্নাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার কথা। বিশ্ব নেতাদের আশা, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হবে ইসরায়েল। তবে আলোচনার আগে লেবাননে ইসরায়েলের হামলাও চলছে। সোমবার লেবাননের একাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যার জেরে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা 'এনএনএ' সোমবার বিকালে দাবি করেছে, দেশের তিনটি অঞ্চল- হারেত, রেইক এবং শিয়াহতে হামলা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকাংশ মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ লেবাননে। চারজনের মৃতু্য হয়েছে পূর্ব দিকের অঞ্চলে। এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা হিজবুলস্নাহ সম্পর্কিত প্রায় ২৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। হামলার এলাকাগুলোর মধ্যে নাবাতিয়া, বালবেক, বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ বৈরুত ও এর আশপাশের এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। থেমে নেই হিজবুলস্নাহও। সোমবার দিনভর একের পর এক রকেট হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায়। উলেস্নখ্য, রোববার তারা ইসরায়েলের রাজধানীসহ একাধিক অঞ্চলে ২৫০টি রকেট ছুঁড়েছিল। অন্যদিকে, জাতিসংঘের পাশাপাশি ফ্রান্স, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালির মতো একাধিক দেশ আশা করছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হিজুলস্নাহর সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবে সম্মত হবে। সোমবার আমেরিকার নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'আমাদের ধারণা, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এবার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।' তার বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার ইসরায়েল সহমত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, 'আগের আলোচনাগুলো থেকে এবারের আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়েছে। তাই আমি আশাবাদী।' তিনি জানিয়েছেন, গাল্ফ এবং আরব দুনিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চলছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, হিজবুলস্নাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা অত্যন্ত সদর্থক জায়গায় পৌঁছেছে। দুই তরফেরই উচিত, এবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করা। উলেস্নখ্য, এর আগেও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সমাধানসূত্র অধরাই থেকে গেছে।