বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

আমেরিকাকে দায়ী করে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিলেন কিম

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আমেরিকাকে দায়ী করে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিলেন কিম
কিম জং-উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ও উসকানি বৃদ্ধির জন্য আমেরিকাকে অভিযুক্ত করে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপ কখনো এতটা বিপজ্জনক পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে পড়েনি। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম 'কেসিএনএ' এ তথ্য জানিয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি

বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ংয়ে একটি সামরিক প্রদর্শনীতে বক্তব্য দেন কিম। সেখানে তিনি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনার অভিজ্ঞতা ওয়াশিংটনের 'আক্রমণাত্মক ও শত্রম্নতাপূর্ণ' নীতির বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। কিম বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধরত পক্ষগুলো কখনো এতটা তীব্র ও বিপজ্জনক সংঘাতের মুখোমুখি হয়নি, যা ধ্বংসাত্মক থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

কিম বলেন, 'আমরা এরই মধ্যে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছি। কিন্তু এর ফল থেকে যা নিশ্চিত হয়েছে, তা হলো- আমাদের সহাবস্থানের ইচ্ছা নয়, বরং তাদের শক্তি, আক্রমণাত্মক ও শত্রম্নতাপূর্ণ নীতির দৃঢ় অবস্থান, যা কখনো বদলাবে না।'

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর, হ্যানয় ও কোরীয় সীমান্তে কিম ও ট্রাম্প তিনটি ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন। তবে আমেরিকার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান এবং উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবির মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তার ও কিমের সম্পর্কের কারণে লাখো মানুষের প্রাণহানি হওয়া একটি পারমাণবিক যুদ্ধ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এখনো ট্রাম্পের পুনর্র্নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

কেসিএনএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিম তার বক্তব্যে অস্ত্র উন্নয়নকে 'অতিযান্ত্রিক' করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও উন্নত করে দেশের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার প্রতিশ্রম্নতি দেন। প্রদর্শনীতে কৌশলগত ও সামরিক অস্ত্র প্রদর্শিত হয়।

কিমের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন উত্তর কোরিয়া ও মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা চলছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে কিম দেশের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতি উন্নত করার আহ্বান জানান। তিনি আমেরিকা ও তার মিত্রদের উত্তেজনা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন এবং কোরীয় উপদ্বীপকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উত্তপ্ত অঞ্চল বলে উলেস্নখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে