ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় খড়্গ নেমে আসছে কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের ওপর। নবনির্বাচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে জরুরি অবস্থা জারি এবং সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার 'ট্রুথ সোশ্যালে' দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন। রক্ষণশীল গ্রম্নপ জুডিশিয়াল ওয়াচের সভাপতি টম ফিটনের এক লেখার জবাবে এই পোস্টটি করেন তিনি। তথ্যসূত্র : আনাদলু
গত ৮ নভেম্বর টম ফিটন লেখেন, 'অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করেছিলেন বাইডেন। তা আবার আগের অবস্থায় ফেরাতে জরুরি পরিস্থিতি জারি এবং সামরিক সম্পদ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন।' সোমবার পোস্টটি শেয়ার করে ট্রাম্প লিখেছেন, 'সত্যি!!!'
আমেরিকায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে দেশ ছাড়া করতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেওয়া সতর্কবার্তার মধ্যে সোমবারের এই বিবৃতিটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা জানালেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বা ফিটন কেউই নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, সামরিক বাহিনীর কোনো ইউনিটকে অভিবাসীদের বিতারিত করার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। আমেরিকায় ১৮৭৮ সালের 'পোস কমিটাস অ্যাক্ট' নামে পরিচিত একটি আইন আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নীতিগুলো প্রয়োগে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না।
'পিউ রিসার্চ সেন্টারে'র তথ্যানুসারে, আমেরিকায় প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছে। আমেরিকার অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীগুলো অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের যে কোনো পদক্ষেপকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি তার নতুন প্রশাসনের উচ্চ পদগুলোতে অভিবাসন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজনকে মনোনীত করেছেন। যার মধ্যে টম হোম্যান ট্রাম্পের পরবর্তী 'সীমান্ত জার', দক্ষিণ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নয়েম পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের মিত্র স্টিফেন মিলার হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হতে যাচ্ছেন। মিলার এবং হোম্যান উভয়েই অভিবাসন নীতিতে অভিজ্ঞ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের প্রশাসনে তারা কাজ করেছেন। তারা ট্রাম্পের 'পারিবারিক বিচ্ছেদ' নীতিতে সহায়তা করেছিলেন, যা অভিবাসী শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদা করে দিয়েছিল।
সেই নীতির অধীনে পিতামাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হাজার হাজার শিশু এখনো পুনর্মিলিত হতে পারেনি বলে জানা গেছে।