হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ
জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ
সরকার জিম্মিদের কথা ভুলে গেছে এবং নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে
প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের কব্জায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে বিক্ষোভ করেছেন জিম্মিদের আত্মীয়-পরিজনসহ হাজার হাজার মানুষ। রোববার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিব, বন্দরনগর হাইফা, কারকুরসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, আনাদলু
মিছিলে অংশ নেওয়া এক জিম্মির আত্মীয় ইসরায়েলের দৈনিক 'ইয়েদিওথ আহরনোথ'কে বলেন, 'যে সরকার তার নাগরিকদের হামাসের সুড়ঙ্গে মরার জন্য পাঠায়, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এখন যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, কিন্তু আমাদের নাগরিকরা যেখানে হামাসের সুড়ঙ্গগুলোতে মৃতু্যর মুখে রয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে যুদ্ধবিরতি সম্ভব? তারা (সরকার) এখন জিম্মিদের কথা ভুলে গেছে এবং নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে।' সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল ইসু্যতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখন্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফের অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ, আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক।
এই সংঘাতের শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে আমেরিকা, কাতার ও মিসর। এই তিন দেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় গত বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক অস্থায়ী বিরতিতে ১০৭ জন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। তবে তারপর থেকে এখন পর্যন্ত অল্প কয়েকজন ছাড়া আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
গাজায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
এদিকে, গাজা ভূখন্ডের উত্তরাঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলের আরও তিন সেনা প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন। আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত তিন সেনা সদস্যই কেফির ব্রিগেডের ৯০তম ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এতে করে গত ১৩ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা প্রায় ৮০০ জনে পৌঁছেছে।