বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অনুঢ়ার দলের বিশাল জয়

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অনুঢ়ার দলের বিশাল জয়
প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েক

শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির নতুন বামপন্থি প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে, এনপিপি জোট মোট ২২৫টির মধ্যে ১৫৯টি আসন নিয়ে পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এই জয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার নতুন বামপন্থি প্রেসিডেন্টকে দারিদ্র্য বিমোচন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নীতি সংস্কারে আরও বেশি ক্ষমতা দিল শ্রীলঙ্কা। নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার মাত্র সাত সপ্তাহ পর দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য বড় দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভোটাররা।

তথ্যসূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স

একজন আত্মস্বীকৃত মার্কসবাদী দিশানায়েক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ২২৫ আসনের মধ্যে ১৯৬ জন এমপি সরাসরি নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আর বাকিদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হিসাবে ভোটের হারের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দলগুলো মনোনীত করে থাকে। ২০২০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মাত্র তিনটি আসনে জেতা এনপিপি এবারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪২.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন অনুঢ়া। আর ৩২.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন এসজেবির নেতা সাজিথ প্রেমদাসা। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তথা ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) প্রধান রনিল বিক্রমাসিংহে ১৭.২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে রনিলের ইউএনপি কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে নিউ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) জোট গড়ে লড়তে নেমেছিল। পাশাপাশি দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট- গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার ভাই মাহিন্দার নেতৃত্বাধীন এসএলপিপি ভোটে অংশ নিয়েছিল।

শ্রীলঙ্কায় এবারের ভোটে ৮ হাজার ৮৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোটারের সংখ্যা পৌনে দুই কোটির বেশি। বৃহস্পতিবারের এই ভোটে প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

প্রসঙ্গত, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, খাদ্য এবং জ্বালানির ঘাটতি ঘিরে ২০২২ সালে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। দেশটিতে জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরে রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বে দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করা হয়।

দেশটির অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় গোতাবায়া সরকার। পরে শ্রীলঙ্কার জন্য তিন বিলিয়ন ডলারের একটি 'বেলআউট' প্যাকেজ চূড়ান্ত করে আইএমএফ। এরপরও দেশটিতে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ তেমন লাঘব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে