মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
রাশিয়া-ইউক্রেন

ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের পরই ব্যাপক ড্রোন হামলা

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের পরই ব্যাপক ড্রোন হামলা

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের ফোনালাপের পর পরস্পরকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী। রুশ বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ছয়জন নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। তথ্যসূত্র : এএফপি

রোববার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'টেলিগ্রামে' এক পোস্টে বলেন, 'গত রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলকে লক্ষ্য করে রেকর্ড ১৪৫টি শাহেদ ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে। এর আগে কখনো এক দফায় এত সংখ্যক ড্রোন উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটেনি।'

এদিকে, সোমবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে রেডর্ক সংখ্যক ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবশ্য ড্রোনের সংখ্যা উলেস্নখ করা হয়নি, রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গত দুই বছরে পরিচালিত ড্রোন হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা ছিল রোববারের হামলা।

ট্রাম্প ও পুতিন পরস্পরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে রোববার জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। রোববার দুই নেতার ফোনালাপের খবর প্রচারিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটেছে এই ড্রোন হামলা।

২০২২ সালে যখন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, সে সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জো বাইডেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার পর বাইডেন প্রশাসন দ্ব্যর্থহীনভাবে ইউক্রেনের সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায় এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে শত শত নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি ইউক্রেনে কোটি কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করতে থাকে। গত প্রায় তিন বছরে হাজার হাজার কোটি ডলার ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

বাইডেন প্রশাসনের এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিকবার তিনি বলেছেন যে, ওয়াশিংটনের উচিত ইউক্রেনে অর্থ সহায়তা পাঠানো এবং রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি সংলাপ শুরু করার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া।

আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর যে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে, তার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। রোববার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বলেছেন, ইউক্রেনকে বাইডেন প্রশাসনের সর্বশেষ সহায়তা হিসেবে ৬০০ কোটি ডলার শিগগিরই পাঠানো হবে। ২০ জানুয়ারির পর থেকে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে