মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ জিতিয়েছে ট্রাম্পকে
প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
এবারের নির্বাচনী প্রচারের সময় বিভিন্ন জনমত জরিপে আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন, চারবছর আগের তুলনায় এখন তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন।
১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিল ক্লিনটনের প্রচার কৌশলবিদ জেমস কারভিলের একটি উক্তি বিখ্যাত হয়ে আছে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মূলত প্রাধান্য পায় 'অর্থনীতি আর বোকারা!'
আর যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও অন্য কোনো বিষয়ের চেয়ে অর্থনীতিকেই বেশি আমলে নেয়। এবারের নির্বাচনী প্রচারের সময় বিভিন্ন জনমত জরিপে আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন, চার বছর আগের তুলনায় এখন তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন।
সুতরাং দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাদের কাকে পছন্দ তা খুব স্পষ্টই ছিল। সেটি হচ্ছেন: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ভোটের পর ফক্স নিউজ দোদুল্যমান তিন রাজ্য পেনসিলভেইনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ায় ট্রাম্পের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পর তিনি জয় ঘোষণা করেন। বাকি আরও ৪টি দোদুল্যমান রাজ্যে তিনি এগিয়ে ছিলেন। এরপর উইসকনসিনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২৭০ ইলোকটোরাল ভোটের ম্যাজিক নম্বর ছাড়িয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এডিসন রিসার্চের জাতীয় বুথফেরত জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, অর্থনীতি ইসু্যটিকে শীর্ষে রেখেছে ৩১ শতাংশ ভোটার। আর ৩৫ শতাংশ ভোটার দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ অর্থনীতি আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর যেসব ভোটারের কাছে অর্থনীতিই প্রধান উদ্বেগের বিষয় তারা ব্যাপকভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। এ সংখ্যা ট্রাম্পের পক্ষে ৭৯ শতাংশ এবং হ্যারিসের পক্ষে ২০ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের স্পষ্ট উদ্বেগ তাদের ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার দিকে চালিত করেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কেবল অর্থনীতি নয়, মূল্যস্ফীতির বিষয়টি ট্রাম্পকে জেতাতে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছে, গত বছরে তারা মূল্যস্ফীতির কারণে দুরবস্থায় ছিলেন। আবার প্রায় চারজনে একজন আমেরিকানই বলেছেন, তারা মূল্যস্ফীতির কারণে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গেছেন।
যেসব ভোটার বলেছেন, তাদের মূল্যস্ফীতির কারণে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের অনেকেই ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছেন। এ সংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ। আর মারাত্মক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা বলা ৭৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।
এডিসনের বুথ ফেরত জরিপের তথ্য বলছে, দেশজুড়ে ৪৫ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা চারবছর আগের তুলনায় এখন বেশি খারাপ গেছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
এই ভোটাররা হ্যারিসকে ভোট না দিয়ে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে ৮০ শতাংশ ভোট। আর হ্যারিস পেয়েছেন ১৭ শতাংশ ভোট।