আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস রোববার 'সুইং স্টেট' (দোদুল্যমান রাজ্য) হিসেবে পরিচিত মিশিগানের ইস্ট ল্যানসিংয়ে এক সমাবেশে বলেছেন, 'গাজায় মৃতু্য ও ধ্বংসের মাত্রা এবং লেবাননে বেসামরিক হতাহত ও বাস্তুচু্যত হওয়ার কারণে এই বছরটি কঠিন ছিল। ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি গাজার যুদ্ধের অবসান ঘটাতে, ইসরায়েলি জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের মর্যাদার অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমার ক্ষমতার সবকিছুই করব।' তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আনাদলু
মিশিগানের আরব-মার্কিন বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ভোটের হিস্যা পেতেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। কেননা, গত শুক্রবার আরব-আমেরিকানদের সামনে হাজির হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহৎ আরব-আমেরিকান জনবহুল এলাকা ডেয়ারবর্ন শহরে সফর করেন তিনি। সেখানে তিনি গাজায় যুদ্ধের পেছনে ডেমোক্রেটদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
অঙ্গরাজ্যটিতে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত মুসলিম ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন। এবারও তাদের থেকে একই ধরনের সমর্থন আশা করছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের জন্য মিশিগানে আরব-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণী রাজ্যগুলো 'সুইং স্টেট' হিসেবে পরিচিত। এবার সাতটি রাজ্যকে সুইং বলা হচ্ছে। এগুলো হলো- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন।
হোয়াইট হাউসে জয়ী হওয়ার জন্য কে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন, তা নির্ধারণ করবে এই সাতটি সুইং স্টেট। এর মধ্যে মিশিগানেই রয়েছে ১৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্প বা হ্যারিসের জয়ের ক্ষেত্রে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, রাজ্যটিতে কমলা এবং ট্রাম্পের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যে প্রার্থী ভূমিকা রাখবেন, তাকেই ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন আমেরিকান মুসলিম ভোটাররা।
'ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা ইলেকশন ল্যাবে'র তথ্য বলছে, এবারের নির্বাচনে এরই মধ্যে সাত কোটি ৮০ লাখের বেশি আমেরিকান আগাম ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে রিপাবলিকানদের তুলনায় প্রায় সাত লাখের বেশি ডেমোক্রেট ভোটার রয়েছেন।