জাপানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ক্ষমতাসীন দল এলডিপি
প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এককভাবে গতবারের চেয়ে অনেক কম আসনে জয়ী হয়েছে দলটি। এমনকি জোট হিসেবেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি এলডিপি। যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল। তারপরও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পদ আঁকড়ে ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তথ্যসূত্র : বিবিসি, এএফপি
২০০৯ সালের পর এই প্রথম এলডিপি তার সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি প্রায় একটানা দেশ শাসন করেছে।
জাপানে রোববার ৫০তম প্রতিনিধি পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার প্রকাশিত নির্বাচন ফল অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন এলডিপি ও কোমেই জোট পেয়েছে ২১৫টি আসন। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন। এমন ফলাফলের জন্য সামনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান শিগেরু ইশিবা সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন এবং তাদের জোট অব্যাহতভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা মূল বিষয় হবে।
জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মোট আসন ৪৬৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন। গতবার এলডিপি একাই পেয়েছিল ২৪৭ আসন। তবে, এবার জোট হয়েও নির্দিষ্ট আসন পাচ্ছে না এলডিপি ও কোমেই। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসন সংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে প্রধান বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপান (সিডিপিজে)। দলটি এবার ১৪৮টি আসনে জিতেছে। গতবার জিতেছিল ৯৮টি আসনে।
গত মাসে ক্ষমতাসীন এলডিপির প্রধান নির্বাচিত হন শিগেরু ইশিবা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিন দিনের মাথায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, দলীয় প্রধান হওয়ার পর এলডিপির আর্থিক কেলেঙ্কারি সামাল দিতে পদক্ষেপ নেন ইশিবা। যা ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভোটারদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী অনেক নেতাকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন ইশিবা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নাগরিকদের সমর্থনের হার দ্রম্নত হ্রাস পায়।