ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিয়মিত পোস্ট করেন তিনি। মূল অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক্স-এ হিব্রম্ন ভাষায় আরও একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তিনি।
তবে খামেনি হিব্রম্ন ভাষার অ্যাকাউন্টটি খোলার একদিন পরই তা সাসপেন্ড বা বন্ধ করে দিয়েছে এক্স কর্তৃপক্ষ। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র দুটি পোস্ট করেছিলেন খামেনি। এরপরই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয় এক্স কর্তৃপক্ষ।
রোববার জানা যায়, খামেনি 'গুরুতর অসুস্থ' এবং তার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে 'নীরব প্রতিযোগিতা চলছে'। কিন্তু দিনের পরবর্তী অংশে তিনি রাজধানী তেহরান ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের ইসরায়েলি বিমান হামলা নিয়ে এক্সে পোস্ট করে সেই গুজবে পানি ঢেলে দেন।
তার মূল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে খামেনি বলেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে 'বাড়িয়ে বা কমিয়ে' দেখা হবে না।
এছাড়া শুধু হিব্রম্ন ভাষায় পোস্ট করার জন্য খামেনির অপর অ্যাকাউন্টে রোববার সর্বশেষ পোস্টে বলা হয়, 'জায়োনিস্ট শাসকরা ভুল করেছেন। ইরান নিয়ে তাদের হিসাবে ভুল আছে। জাতি হিসেবে ইরানের ক্ষমতা, সক্ষমতা, উদ্যোগ ও অভিলাষ সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেওয়া হবে।'
শনিবার সকালে হিব্রম্ন অ্যাকাউন্টে প্রথম পোস্ট করেন খামেনি। সেখানে বলা হয় 'পরম করুণাময়, দয়ালু আলস্নাহর নামে শুরু করছি।'
এক্সের নীতি অনুযায়ী, 'হিংসাত্মক এবং ঘৃণা' ছড়ায় এমন কিছু নিষিদ্ধ করে। তবে এটি 'রাষ্ট্রীয় বা সরকারি সংস্থাগুলোর' জন্য প্রযোজ্য নয়। সে হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির অ্যাকাউন্ট বাতিল হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এক্স কর্তৃপক্ষ সেটাই করল।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনির ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বাতিল করে মেটা। এ ঘটনাকে 'অবৈধ ও অনৈতিক' বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ইরান।
তবে মেটার দাবি, 'বিপজ্জনক সংস্থা ও ব্যক্তিদের' বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নীতি 'বারবার লঙ্ঘন' করায় খামেনির অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উলেস্নখ্য, ইরানে আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনি বিগত ৩৫ বছর ধরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছেন। হিব্রম্ন ভাষায় তার অ্যাকাউন্ট চালু করা মাত্রই দ্রম্নত অনুসারী বাড়তে থাকে। ইসরায়েলি নাগরিকদের কাছে নিজের বক্তব্য প্রচারে পস্ন্যাটফর্ম হিসেবে এটি ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। উলেস্নখ্য, ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিব্রম্ন। তথ্যসূত্র : জেরুজালেম পোস্ট