রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জোর দিয়ে বলেছেন, একমাত্র আমেরিকাই কোরীয় উপদ্বীপে উসকানি দিয়ে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
কোরীয় উপদ্বীপসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার মার্কিন নীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে আগুনে জ্বলতে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে আমেরিকা। তারা সেখানে সংঘাত চায়।
উত্তর কোরিয়াকে উত্তেজনা বৃদ্ধির যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোর পর রুশ মুখপাত্র এ কথা বললেন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার আকাশে দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন প্রবেশ করেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে আবর্জনা-ভর্তি বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর ফলে সেখানে উত্তেজনা বেড়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা 'টেলিগ্রাম' চ্যানেলে লিখেছেন, আমেরিকার পুরনো কৌশল হলো- উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দোষ এমন পক্ষের ঘাড়ে চাপানো, যারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিউল ও টোকিও হচ্ছে ওই অঞ্চলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পয়েন্ট। আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে এমন তীব্র চাপের মধ্যে রেখেছে, যাতে তারা আমেরিকার চাপিয়ে দেওয়া দাসত্ব থেকে মুক্তির কথা চিন্তাও করতে না পারে।
এদিকে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেনকো উত্তর কোরিয়াকে সামরিক সহায়তা দিতে মস্কোর প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন।
পিয়ংইয়ংয়ে তৃতীয় কোনো দেশের হামলার প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়ার প্রতি রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক সহায়তা-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কৌশলগত চুক্তির ভিত্তিতে তারা পিয়ংইয়ংকে সহযোগিতা করবে।
অন্যদিকে, মার্কিন বিশ্লেষক ব্রায়ান বার্লেটিক মনে করেন, কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার প্রধান কারণ এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি।
বার্তা সংস্থা 'স্পুটনিক'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমেরিকা কোরীয় উপদ্বীপে নিজের দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উপস্থিতিকে বৈধতা ও ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র : এএফপি