ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের আরও একটি গ্রাম দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। দখলে নেওয়া গ্রামাটির নাম। মাকসিমিলিয়ানিভকা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে। জনপ্রিয় ইউক্রেনীয় সামরিক বস্নগ ডিপস্টেটে মাকসিমিলিয়ানিভকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াইয়ের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
মাকসিমিলিয়ানিভকা গ্রামটি রুশ-নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক কেন্দ্র দোনেৎস্কের পশ্চিমে কুরাখোভ শহর থেকে ১০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। কুরাখোভ সেক্টর এ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার অগ্রগতির একটি কেন্দ্রবিন্দু। রাশিয়া প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে পোকরভস্কের 'লজিস্টিক্যাল হাব' নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর 'স্টাফ অব জেনারেল' এদিন সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুরাখোভের কাছে ৪৫টির সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি আক্রমণকে প্রতিহত করেছে দেশটি। ৯টি সংঘর্ষ তখনো চলছিল।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দুষলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন তিনি। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করলে ইউক্রেন ইসু্যতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির যে আমূল পরিবর্তন হতে পারে, তার এই মন্তব্যে সেই ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো।
ট্রাম্প বলেছেন, কেবল যুদ্ধ শেষ করতে ব্যর্থতা নয়, বরং যুদ্ধটা উসকে দেওয়ার দায় জেলেনস্কির। তিনি বলেছেন, 'তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আমি তার (জেলেনস্কি) পাশে দাঁড়াব না। আমি মানুষগুলোর (ইউক্রেনীয়) জন্য সমবেদনা অনুভব করছি। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হতে দেওয়াই তার উচিত হয়নি। এটি শুরু থেকেই ছিল একটি হেরে যাওয়া যুদ্ধ।'
নির্বাচনি প্রচারণাকালে ক্রমাগত জেলেনস্কির সমালোচনা করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ২০২২ সালে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার পর থেকে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা বাগানোর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিক্রেতা' (দ্য গ্রেটেস্ট সেলসম্যান অন আর্থ) বলে একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হওয়ার দায় জেলেনস্কির কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, প্রয়োজনে কিছু ভূখন্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দিয়ে হলেও ইউক্রেনের উচিত শান্তিচুক্তি করে ফেলা।
মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জয়লাভ করলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তার বরাদ্দ কমে যেতে পারে। অন্তত ট্রাম্পের বক্তব্যে মানুষের মধ্যে সেই ধারণাই বদ্ধমূল হচ্ছে।