হামাস নেতার মৃতু্যতে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বজনরা

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ -ফাইল ছবি
গাজায় হামাসের কাছে আটক জিম্মিদের নিয়ে আরও বেশি উৎকণ্ঠায় ভুগছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। কেননা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃতু্যতে জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি বেড়ে গেল বলে তাদের আশঙ্কা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও শিন বেত সিকিউরিটি সার্ভিস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইসরায়েলে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী নিহত হয়েছে। বুধবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে পরিচালিত এক ইসরায়েলি অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ২৪ বছর বয়সি এক জিম্মির অভিভাবক ইনাভ জানগাউকার বলেছেন, 'সিনওয়ারের ওপর আমাদের প্রতিশোধ সম্পন্ন হলো। তবে সব জিম্মিকে উদ্ধার করতে না পারলে এই জয়ের কোনো মূল্য থাকবে না।' এখন পর্যন্ত ১১৭ জন জিম্মি নিরাপদে ফিরে এসেছেন। তার মধ্যে ১০৫ জন নারী, শিশু ও বিদেশি নাগরিককে হামাসের সঙ্গে সাময়িক এক সমঝোতায় ছাড়িয়ে আনা হয়। চারজন যুদ্ধের শুরুতেই মুক্ত হয়েছিলেন। আর আটজনকে সামরিক বাহিনী উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত ৩৭ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে গাজায় এখনো ১০১ জন বন্দি অবস্থায় রয়েছেন বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি। অভিযানের পুরো সময় ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন সিনওয়ার। ধারণা করা হয়, তিনি গাজার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে আত্মগোপনে ছিলেন। তেল আবিবের তথাকথিত 'হোস্টেজ স্কোয়ারে' জিম্মিদের স্বজনরা মাঝেমধ্যেই জড়ো হন। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে থাকেন তারা। সিনওয়ারে মৃতু্যর পর সেখানে আবারো জমায়েত হতে দেখা যায় বিহ্বল নাগরিকদের। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও তেল আবিবের বাসিন্দা আনাত রন কান্ডেল বলেছেন, 'আমি মানসিকভাবে কিছুটা অসাড় বোধ করছি। জিম্মিদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে আশাভরসা ধরে রাখা কঠিন।' তিনি আরও বলেছেন, 'গত বছর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এখন মৃত। আমি নিশ্চিত নই যে, এই অবস্থায় আমাদের জিম্মিরা কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের কতজন নিরাপদে ফিরে আসবে, কতজন বেঁচেই বা আছে? আমি অনেক, অনেক বেশি চিন্তিত।'