আজকের যায়যায়দিন

সরকারি ব্যয় কমাতে সাত মন্ত্রীসহ ২২৮ জনের রাজনৈতিক নিয়োগ বাতিল করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত বছর ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক কারণে সরকারি বিভিন্ন পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাদের অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন মুইজ্জু। কারণ, ভারত মহাসাগরীয় এই দেশটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে লড়াই করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পাবলিক ফান্ডে'র সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্টের এই রাজনৈতিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত বৃহত্তর প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন মন্ত্রী রয়েছেন। এ ছাড়া ৪৩ জন উপ-মন্ত্রী ও ১৭৮ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তবে এই অপসারণের পেছনে অন্য কারণ আছে কি-না সে বিষয়ে স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া এসব ব্যক্তির অপসারণের ফলে প্রতি মাসে তিন লাখ ৭০ ডলার সাশ্রয় করতে পারবে মালদ্বীপ। আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বেলআউট নেওয়ার পরিকল্পনা নেই মালদ্বীপের। মূলত আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করেছে মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রশাসন। সম্প্রতি ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হয়ে উঠেছে মালদ্বীপ। সাদা বালুর সৈকতের এই দেশটির অর্থনীতিতে পর্যটন খাত উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এক হাজার ১৯২টি প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশ। চীন ও ভারত মালদ্বীপের দুটি বৃহত্তম ঋণদাতা দেশ। তথ্যসূত্র : এএনআই