পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন ভারতের শিল্পপতি রতন টাটার

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রতন টাটার ছবিতে শ্রদ্ধা সর্বস্তরের
ভারতের মুম্বাইয়ের ওরলিতে পারসিদের অন্ত্যেষ্টিস্থলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে দেশটির শিল্পপতি রতন টাটার। কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে রতন টাটার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘোষণা মতো পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় 'টাটা সন্‌স' গোষ্ঠীর সাম্মানিক চেয়ারম্যানের। এর আগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন শিন্ডে। এদিন মহারাষ্ট্রের সব সরকারি ভবনের পতাকা অর্ধনমিতও ছিল। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টাটা। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে গত কয়েকদিন মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রোববার রাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ভারতের বর্ষীয়ান এই শিল্পপতিকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছিল, হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাকে আইসিইউতে ভর্তিও করানো হয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালেই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শিল্পপতি নিজেই জানিয়েছিলেন, সব খবর ভুয়া। বরং বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে নিয়মমাফিক চেক-আপের জন্যই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর বুধবার রাতে তার মৃতু্যর খবর মেলে। তার মৃতু্যর পর ভারতজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বৃহস্পতিবার বিকালে ওরলির অন্ত্যেষ্টিস্থলে আনা হয় টাটার মরদেহ। তার আগে নরিম্যান পয়েন্টে এনসিপিএ লনে কাচের বাক্সে রাখা ছিল তার মরদেহ। বাক্সের ওপর জড়ানো ছিল জাতীয় পতাকা। সামনে রাখা ছিল রতন টাটার পরিচিত সেই হাসিমুখের ছবি। টাটার শেষকৃত্যে অমিত শাহ ছাড়াও যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। উপস্থিত ছিলেন টাটা গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে ভারতের বিশিষ্টজনরা। অমিত শাহ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, লাখ লাখ ভারতবাসীর সঙ্গে তিনিও টাটার মৃতু্যতে শোক পালনে শামিল হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হয়ে পুষ্পস্তবকও দিয়েছেন শিল্পপতির মরদেহে। এদিন এনসিপিএ লনে এসে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানান রতন টাটাকে। সেখানেই সবার সঙ্গে প্রিয় মালিককে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যায় তার প্রিয় কুকুর গোয়া।