যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান আরও কমে তিন শতাংশ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত নতুন এক জরিপে হ্যারিসের জনসমর্থন ৪৬ শতাংশ এবং ট্রাম্পের জনসমর্থন ৪৩ শতাংশ দেখা গেছে। তাদের মধ্যকার এই কাছাকাছি অবস্থান আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে। চারদিনের এই জরিপ শেষ হয়েছে সোমবার। এতে দেখা গেছে, ট্রাম্প যিনি সেপ্টেম্বরের ২০-২৩ তারিখের রয়টার্স/ইপসোস জরিপে হ্যারিসের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পেছনে ছিলেন, তাকে এবার ভোটাররা বেশি সমর্থন দিয়েছে বেশি কিছু অর্থনৈতিক বিষয়ের কারণে।
এ ছাড়া দেশে থাকা অবৈধ অভিবাসীরা অপরাধের দিকে ঝুঁকে বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন, সে কারণেও কিছু ভোটার তার দিকে চলে গিয়ে থাকতে পারে। জরিপে ভোটাররা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকেই শীর্ষে রেখেছে এবং ৪৪ শতাংশ ভোটারই বলেছে 'জীবযাত্রা ব্যয় সংকট' নিয়ে ট্রাম্প বেশি ভালো কথা বলেছেন। আর হ্যারিস এ বিষয়ে ভালো করেছেন বলে মত দেয় ৩৮ শতাংশ ভোটার।
অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে যেটি মোকাবিলা করতে হবে তার মধ্যে জীবযাত্রা ব্যয় এর বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন ৭০ শতাংশ ভোটার। চাকরি, কর এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে ভালোভাবে জীবনযাপন করার বিষয়গুলোয় ট্রাম্প ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছেন বেশি। যদিও ধনী এবং সাধারণ আমেরিকানদের মধ্যকার ফারাকের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ ভোটার হ্যারিসকেই বেশি ভাল মনে করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীরা অপরাধের দিকে ঝুঁকে এ প্রসঙ্গে নতুন জরিপে ৫৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছে। আর সমর্থন করেনি ৪১ শতাংশ। অথচ এই একই প্রশ্নে গত মে মাসে ভোটারদের মধ্যে খুব কম ব্যবধানে বিভক্তি দেখা গিয়েছিল। ট্রাম্পের কথা সমর্থন করেছিল ৪৫ শতাংশ ভোটার। আর সমর্থন করেনি ৪৬ শতাংশ ভোটার। তবে হ্যারিস গত জুলাইয়ে নির্বাচনি দৌড়ে সামিল হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনে এগিয়েই থেকেছেন। সর্বসাম্প্রতিক জরিপে নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা যাদের সবচেয়ে বেশি, এমন ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসকে ট্রাম্পের চেয়ে ২ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। হ্যারিস পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ সমর্থন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ সমর্থন। ভোটাররা ট্রাম্পের তুলনায় হ্যারিসকে মানসিকভাবে বেশি শক্ত-সমর্থ বলে মনে করে। নতুন জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ শতাংশ ভোটারই বলেছে, হ্যারিস মানসিকভাবে চৌকস এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। আর ট্রাম্পের ক্ষেত্রে একই মত পোষণ করেছে মাত্র ৪৬ শতাংশ ভোটার।