বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

নাসরালস্নাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
হাশেম সাফিউদ্দীন ও নাইম কাসেমের

হিজবুলস্নাহর প্রধান প্রয়াত হাসান নাসরালস্নাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই দাবি করেন।

গত মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে তার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। এতে তিনি বলেন, তারা হিজবুলস্নাহর সক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দিয়েছেন। তারা হিজবুলস্নাহর হাজারও সদস্যকে হত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে নাসরালস্নাহ আছেন। আছেন তার উত্তরসূরি। এমনকি আছেন এই উত্তরসূরিরও উত্তরসূরি। অনেক বছর ধরে হিজবুলস্নাহ যতটা শক্তিশালী ছিল, আজ তার থেকে দুর্বল।

নেতানিয়াহু অবশ্য নাসরালস্নাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম উলেস্নখ করেননি। এ ছাড়া তিনি উত্তরসূরির উত্তরসূরি- এ কথার মাধ্যমে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হিজবুলস্নাহর নেতা হাশেম সাফিউদ্দিন খুব সম্ভবত 'নিহত' হয়েছেন।

গত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুলস্নাহর প্রধান নাসরালস্নাহ। সাফিউদ্দিনকে তার (নাসরালস্নাহর) সম্ভাব্য উত্তরসূরি বিবেচনা করা হচ্ছিল। পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার সময় তারা জানতেন, সাফিউদ্দিন হিজবুলস্নাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে অবস্থান করছেন। সাফিউদ্দিনের 'অবস্থা' যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যখন তারা জানবেন, তখন তারা তার বিষয়ে সবাইকে জানিয়ে দেবেন।

গত সপ্তাহের ওই বিমান হামলার পর থেকে সাফিউদ্দিনকে আর দেখা যায়নি। তাকে কথা বলতে শোনা যায়নি। নাসরালস্নাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি সাফিউদ্দিন যদি নিহত হয়ে থাকেন, তাহলে তা হবে ইরানপন্থি হিজবুলস্নাহর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। বিষয়টি তেহরানের জন্যও বড় চাপ তৈরি করবে। লেবাননে হিজবুলস্নাহর বিরুদ্ধে স্থলাভিযানের পরিধি দ্রম্নত বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুলস্নাহর ভূগর্ভস্থ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ছয়জন সেক্টর কমান্ডার ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা রয়েছেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুলস্নাহ। ইসরায়েলও নিয়মিত পাল্টা জবাব দিচ্ছিল। তবে তারা গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হিজবুলস্নাহর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা শুরু করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে