আজকের যায়যায়দিন

আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের মধ্যে 'অনেক খারাপ জিন' আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত কথিত খুন নিয়ে আলোচনার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

রক্ষণশীল ভাষ্যকার হিউ হিউয়েটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা করার সময় এ কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কীভাবে মানুষকে একটি উন্মুক্ত সীমান্তে আসতে অনুমতি দেয়, যাদের ১৩ হাজারই খুনি? ট্রাম্প আরও বলেন, 'তাদের অনেকেই একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে আর এখন আমেরিকায় আরামে বসবাস করছে। এখন একজন খুনি, আমি এটা বিশ্বাস করি, এটি তাদের জিনে আছে। আর এখন আমাদের দেশে এরকম প্রচুর খারাপ জিন আছে।'

আমেরিকার এই সাবেক প্রেসিডেন্ট তার নির্বাচনী প্রচার চলাকালে বারবার অভিবাসীদের আক্রমণ করে কথা বলেছেন, বিশেষভাবে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এদের নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কখনো কখনো তিনি অমানবিক ভাষাও ব্যবহার করছেন আর ক্রমাগতভাবে অত্যন্ত বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া শুরু করেছেন। যদিও অনেকগুলো গবেষণা ফলে উঠে এসেছে, স্থানীয়ভাবে আমেরিকায় জন্ম নেওয়া আমেরিকানদের চেয়ে অভিবাসীদের অপরাধের হার বেশি নয়।

ট্রাম্প সম্ভবত মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) থেকে রিপাবলিকান প্রতিনিধি টনি গনজালেসকে দেওয়া একটি চিঠির বরাতে এসব কথা বলেছেন। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ওই চিঠিতে দেখা গেছে, ১৩ হাজার ৯৯ জন লোক হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আর তারা অভিবাসন কার্যক্রমের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও আইসিইয়ের অধীন বন্দি নেই ('নন-ডিটেইনড ডকেট)। এই লোকজনের মধ্যে বহু ধরনের অভিবাসী আছেন, যারা আমেরিকায় বৈধ ও অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন।

ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা দিল পাঞ্জাব

আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ওই পরিসংখ্যানকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছেন। রয়টার্সকে পাঠানো এক ই-মেইলে তিনি বলেছেন, 'ওই চিঠিতে যে তথ্য আছে তার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। এই তথ্য কয়েক দশকের। এখানে এমন লোকও আছেন, যারা ৪০ বছর বা তারও আগে এই দেশে এসেছিলেন। এদের অধিকাংশের হেফাজত নির্ধারণ করা হয়েছিল বর্তমান প্রশাসনের অনেক আগে।