গাজা যুদ্ধের সূচনা ঘটানো ৭ অক্টোবর হামলার বর্ষপূর্তির আগে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার গাজা যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগের রাতে ইসরায়েল লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাংশে এই হামলা চালায়। গত মাসে ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিজবুলস্নাহর বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর পর থেকে ইসরায়েল এদিন রাতেই সবচেয়ে তীব্র হামলা চালিয়েছে। বোমা বর্ষণের পর বিশাল অগ্নিগোলায় রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আর তীব্র শব্দে পুরো বৈরুত কেঁপে ওঠে। উত্তরে হিজবুলস্নাহও ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধ বিমানগুলো বৈরুতে হিজবুলস্নাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরের অধীনে থাকা লক্ষ্যস্থল ও অস্ত্র গুদামগুলোতে আঘাত হেনেছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ও বেকা উপত্যকায়ও হিজবুলস্নাহর লক্ষ্যস্থলগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে।
বৈরুতের দক্ষিণাংশের বাসিন্দা হানান আবদুলস্নাহ বলেন, 'আগের যে কোনো রাতের চেয়ে গত রাতের হামলা সবচেয়ে হিংস্র ছিল। বহুবার হামলা চালানো হয়েছে, আমরা সেগুলো গুনতেও পারিনি। কানে তালা লাগানোর মতো সব শব্দ ছিল।'
ইসরায়েলের হাইফা ও টাইবেরিয়াসে
হিজবুলস্নাহর পাল্টা রকেট হামলা
ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ও আরেক শহর টাইবেরিয়াসে হিজবুলস্নাহর ছোড়া রকেট আঘাত হেনেছে। সোমবার ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ভূখন্ডটির উত্তরাঞ্চলে এসব হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। হিজবুলস্নাহ জানায়, তারা হাইফার দক্ষিণে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি 'ফাদি ১' ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী বন্দরশহর হাইফায় অন্তত পাঁচটি রকেটে আর ৬৫ কিলোমিটার পূর্বে সি অব গ্যালিলি হ্রদের তীরবর্তী শহর টাইবেরিয়াসে আরও পাঁচটি রকেট আঘাত হেনেছে।
২৪ ঘণ্টায় হিজবুলস্নাহর ১৫০ স্থাপনা
ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত লেবাননের সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহর ১৫০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা। রোববার বিকালে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর ৩৬তম ডিভিশনের ১৮৮ নম্বর ব্রিগেডের সদস্যরা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তলস্নাশি চালাচ্ছে উলেস্নখ করে আইডিএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে যারা থাকেন, তাদের প্রায় সবার বাড়িতে অস্ত্র বা বিস্ফোরক রেখেছে হিজবুলস্নাহ।