ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের সাম্প্রতিক ব্যাপক আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে দেশটিতে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, 'সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলের যে মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তাদের ভূখন্ড ও জনগণের ওপর এই মাত্রার হামলা বরদাস্ত করবে না, ইসরায়েলও করবে না।' তথ্যসূত্র : এএফপি, বিবিসি
নেতানিয়াহু বলেন, নিজের ভূখন্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করা শুধু অধিকারই নয়, এটি ইসরায়েলের দায়িত্বও। ইসরায়েল সেই দায়িত্ব নিশ্চিতভাবেই পালন করবে।'
ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট সশস্ত্র ইসলামী গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহকে দমনে গত ৩০ তারিখ থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। এ অভিযান শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে ২ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আইআরজিসি।
অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিতে পেরেছে বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি। তবে ওই ঘটনার পর থেকে গুঞ্জন উঠেছিল, ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল, তবে এতদিন এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেনি ইসরায়েল। শনিবারের ভাষণে প্রথম এই ইসু্যতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নেতানিয়াহু।
শেলি বারকান নামের এক শিক্ষিকা বলেছেন, 'একদিকে আমাদের কঠোরভাবে জবাব দিতে হবে। কিন্তু অবশ্যই একজন বেসামরিক হিসেবে এটির পরিণতি নিয়ে আমি ভীত। আমি আশা করি, প্রতিরক্ষা বাহিনী আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় করে সবচেয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে।' অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভূখন্ড নিয়ে তৈরি হওয়া দখলদার ইসরায়েলের এই অবৈধ বসতি স্থাপনকারী শিক্ষিকা বলেন, 'উত্তরের বাসিন্দারা সমস্যায় আছে। তবে ইরানের ওই হামলার পর ইসরায়েলে বসবাস করতে পেরে আমি নিজেকে আরও গর্বিত মনে করছি।'