ভারতের রাজধানী দিলিস্নতে একটি নার্সিং হোমে ঢুকে এক চিকিৎসককে গুলি করে হত্যা করেছে দুই কিশোর। দিলিস্নর জইতপুরে নিমা হাসপাতালে ঘটেছে
এ ঘটনা।
আগের রাতে ওই হাসপাতালে এসে এক কিশোর তার পায়ের আঘাতের চিকিৎসা করিয়েছিল। সে এবং তার বন্ধু আবার ওই হাসপাতালে গত রাতে আসে। তারা বলে, ওই আঘাতের জায়গায় আবার ড্রেসিং করাতে চায়। ড্রেসিং করে দেওয়ার পর তারা বলে, চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেসক্রিপশন নিয়ে কথা বলবে।
এরপর তারা ইউনানি মেডিনিসের চিকিৎসক জাভেদ আখতারের চেম্বারে ঢোকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে নার্সিং কর্মীরা গুলির আওয়াজ শুনতে পান। তারা ডাক্তারের কেবিনে ঢুকে দেখেন তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, দুই কিশোরের বয়স ১৬-১৭ বছরের মতো। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সেখান থেকে দুই কিশোরের পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা করছে। আগের রাতে দুই কিশোর এসে একবার সবকিছু দেখে গিয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বলেই পুলিশ মনে করছে।
দিলিস্নতে পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং আইন-শৃঙ্খলার পুরো দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।
দিলিস্ন সরকারের মন্ত্রী ও আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, দিলিস্ন অপরাধেরও রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। গ্যাংস্টাররা অবাধে ঘুরছে, টাকা আদায় করছে, গুলি চালাচ্ছে এবং রোজ কাউকে না কাউকে হত্যা করা হচ্ছে। দিলিস্নর জন্য নূ্যনতম কাজটাও তারা করতে পারছেন না। তথ্যসূত্র : পিটিআই