ইসরায়েল-ইরানি দ্বন্দ্ব

ইরানের তেলের খনিতে হামলা নিয়ে আলোচনা করছেন বাইডেন

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা নেই : ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের তেল খনিতে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলা নিয়ে তিনি আলোচনা করছেন। বৃহস্পতিবার বাইডেন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন। ইরানের তেল স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে তিনি ইসরায়েলকে সমর্থন করেছেন কিনা জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, 'আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করছি। আমি মনে করি এটি সামান্যই হবে।' তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। লেবাননের হিজবুলস্নাহ নেতা হাসান নাসরুলস্নাহকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ আশা করেননি। ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অনুমতি দেবেন কিনা জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, 'প্রথমত, আমরা ইসরায়েলকে অনুমতি দেই না, আমরা ইসরায়েলকে পরামর্শ দেই এবং আজ কিছুই ঘটতে যাচ্ছে না।' এর আগে গত বুধবার বাইডেন বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে তিনি সমর্থন করেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন না যে, মধ্যপ্রাচ্যে 'সর্বাত্মক যুদ্ধ' শুরু হতে যাচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হলেও পরিস্থিতি সামলাতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কতটা নিশ্চিত যে, এই যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে? জবাবে তিনি বলেন, 'আপনি কতটা নিশ্চিত যে বৃষ্টি হবে না? দেখুন, আমি মনে করি না সর্বাত্মক যুদ্ধ হবে। আমি মনে করি, আমরা এটি এড়াতে পারি।' তিনি আরও বলেন, কিন্তু এখনো অনেক কিছু করতে হবে, অনেক কিছু। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি ইসরায়েলকে সহযোগিতা করার জন্য মার্কিন সেনা পাঠাবেন? বাইডেন উত্তর দেন, 'আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছি। আমরা ইসরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিত করব।' ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবছে তেল আবিব। গত মঙ্গলবার ইরান এই হামলা চালিয়েছিল। লেবাননে ইসরায়েলি হামলার জবাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বে সাম্প্রতিক রক্তপাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। ওই সময় ইসরায়েলে হামাসের এক হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং কমপক্ষে ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে ৪১ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গাজার প্রায় সব মানুষকে বাস্তুচু্যত করেছে। খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে ইসরায়েল তা অস্বীকার করে আসছে। এছাড়াও লেবাননে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক হামলায় শত শত মানুষ নিহত, হাজার হাজার আহত এবং ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচু্যত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান-সমর্থিত হিজবুলস্নাহ যোদ্ধাদের নিশানা করছে। কিন্তু তাদের হামলায় নিহত হচ্ছেন নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষই।