ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক রাতে নিহত হয়েছেন ৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ঘটেছে নিহত এবং আহতের এসব ঘটনা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি
ফিলিস্তিনের বেতার সংবাদ মাধ্যম 'ভয়েস অব প্যালেস্টাইন' এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের গণসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর অভিযান। গাজার খান ইউনিস ও তার আশপাশের এলাকায় ৪০ জনকে হত্যা এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আহত করার পর উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটির দিকে অগ্রসর হয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তাদের অভিযানে নিহত হন আরও ২২ জন।
এছাড়া ফিলিস্তিনের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির নুসেইরাতের একটি স্কুলে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন আরও তিনজন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন। ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্য, নুসেইরাতের এই স্কুলটি 'কমান্ড সেন্টার' হিসেবে ব্যবহার করা ছিল হামাস। যদিও এ ধরনের অভিযাগ অস্বীকার করেছে হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখন্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনো চলছে।
বুধবার যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের সংখ্যা হিসেবে ধরে এক বিবৃতিতে গাজার বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত প্রায় এক বছরের অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৬৮৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬২৫ জন।
এদিকে, প্রায় এক বছর যাবৎ ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, তিন মাস আগে এক হামলায় গাজায় হামাসের তিন সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলায় গাজা উপত্যকায় হামাস সরকারের প্রধান রাউহি মুশতাহা, হামাসের রাজনৈতিক বু্যরোর নিরাপত্তা প্রধান সামেহ আল-সিরাজ ও কমান্ডার সামি ওদেহ নিহত হয়েছেন।