'ভারতের আগ্রাসনের' বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শাহবাজের

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
ইসরাইল ও ভারতকে নির্দোষ ফিলিস্তিনি এবং কাশ্মীরিদের লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় দিলিস্ন নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে উলেস্নখ করে ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে শাহবাজ শরিফ বলেন, 'আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে কোনো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।' তথ্যসূত্র : ডন, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ পরিষদের সামনে ২১ মিনিট ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর বিস্তৃত পরিসর নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তবে তার ভাষণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় গাজা, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইসু্যটি। শাহবাজ শরিফ বলেন, শান্তির দিকে অগ্রসর না হয়ে, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রম্নতি থেকে সরে এসেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ঘরোয়া রাজনৈতিক বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে তিনি বলেন, 'এটি শুধুই এক সংঘাত নয়, এটি নির্দোষ মানুষের ওপর এক পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।' শাহবাজ শরিফ সতর্ক করে বলেন, 'গাজার শিশুদের রক্ত শুধু দখলদারদের হাতকেই কলঙ্কিত করছে না, বরং যারা এই নিষ্ঠুর সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে তারাও এর দায় এড়াতে পারে না।' ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যখন তার ভাষণ শুরু করেন; তখন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে শাহবাজ শরিফ তার প্রতিনিধিদল নিয়ে সাধারণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে যান। পরে অন্য মুসলিম নেতারা তাকে অনুসরণ করেন। এদিকে, ৯ বছর পর প্রথম ভারতীয় পাররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল এস জয়শংকরের। তার আগেই জাতিসংঘে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ভার?তকে খোঁচা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, শাহবাজের এই আক্রমণের প্রভাব কি জয়শংকরের পাক সফরে পড়তে পারে? উলেস্নখ্য, শনিবারই জাতিসংঘে জবাবি ভাষণ দেবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিবর্তে জয়শংকরকে পাঠাতে চেয়েছিল দিলিস্ন। আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর ইসলামাবাদে এসসিও দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন রয়েছে। সেখানে যদি জয়শংকর যান, তাহলে ৯ বছর পর প্রথম ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানে পা রাখবেন তিনি। ২০১৫ পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।