নাসরুলস্নাহ হত্যাকান্ড

নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনি
ইসরাইলি হামলায় লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুলস্নাহর নেতা হাসান নাসরুলস্নাহ নিহতের পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির দুইজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খামেনিকে যেখানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও উন্নত বলে জানিয়েছেন তারা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স শুক্রবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুলস্নাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরাইল। এই হামলায় নাসরুলস্নাহ নিহত হন। এরপরই ইরানি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার খবর জানা গেল। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিজবুলস্নাহ ও অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। নাসরুলস্নাহর ওপর হামলার জবাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি এখন ঠিক করা হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয় হিজবুলস্নাহর সদর দপ্তরকে। হামলার সময় নাসরুলস্নাহ সদর দপ্তরে ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসরাইল। এই হামলায় দুই হাজার কেজির বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। আর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থেকে। শুক্রবার স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও শনিবার সকালে ইসরাইল দাবি করে, তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নাসরুলস্নাহ। পরে হিজবুলস্নাহও হাসান নাসরুলস্নাহ নিহতের খবর স্বীকার করে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসকে সহযোগিতা করতে এর পরের দিন থেকে ইসরাইলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুলস্নাহ। এতদিন যুদ্ধ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে থাকলেও দুই সপ্তাহ আগে থেকে ইসরাইল হিজবুলস্নাহকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা শুরু করে। তারা পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজবুলস্নাহর কয়েক হাজার যোদ্ধাকে আহত করে। এরপর বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে একাধিক কমান্ডারকে। সর্বশেষ নাসরুলস্নাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা।