আজকের যায়যায়দিন

বিরোধী পক্ষগুলোকে সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে বিরোধী পক্ষগুলো এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জান্তা বাহিনীকে প্রচন্ড চাপের মধ্যে রেখেছে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। গত বছরের অক্টোবর থেকে গোষ্ঠীগুলো জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশটির একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স

বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকার সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ সংঘাতে ব্যর্থতার কারণে বেকায়দায় রয়েছে সরকারি বাহিনী। এমন অবস্থায় দেশের সব অভু্যত্থানবিরোধী শক্তিকে সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে আলোচনায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি সামরিক অভু্যত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এ অভু্যত্থানের নেতৃত্ব দেন। এরপর থেকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ শাসন করে চলেছে। এসএসি এবার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসকে (পিডিএফ) 'সন্ত্রাসবাদী পথ' ছেড়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের দখল নিতে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে। এরপর থেকে এসব গোষ্ঠী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আমেরিকা / ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা

এ অবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত 'গেস্নাবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার'র শুক্রবারের সংস্করণে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি)। প্রকাশিত এই বিবৃতিতে তারা বলেছে, 'রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং পিডিএফ সন্ত্রাসবাদীদের দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী পথ পরিত্যাগ করে টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে জনগণের সঙ্গে তারা হাত মেলাতে সক্ষম হয়।'

তবে আলোচনার এ প্রস্তাব বেশ দ্রম্নততার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। এই গোষ্ঠীর মধ্যে অভু্যত্থানে অপসারিত নির্বাচিত আইনপ্রণেতারাও অন্তর্ভুক্ত আছেন। প্রস্তাবটি বিবেচনার মতো নয় বলে জানিয়েছেন এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন ল্যাট।