শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চীনের

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চীনের

চীন জানিয়েছে, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে নকল বোমাবাহী একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।

বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে আইসিবিএমটি ছোড়া হয় এবং সেটি 'মহাসাগরের প্রত্যাশিত এলাকায় গিয়ে পড়েছে'।

এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণটি 'নিয়মিত কার্যক্রমের' এবং 'বার্ষিক প্রশিক্ষণের' অংশ বলে জানিয়েছে তারা।

বিবিসি জানিয়েছে, কী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে আর সেটি কোন পথ ধরে গেছে, এ বিষয়গুলো পরিষ্কার না হলেও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেইজিং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে 'আগেভাগেই বিষয়টি জানিয়েছে'।

পরে জাপান জানায়, তারা এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের বিষয়ে 'কোনো নোটিশ' পায়নি।

চীন নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা সাধারণত দেশের অভ্যন্তরে করে থাকে। এর আগে তারা তাদের আইসিবিএম'র পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণগুলো শিনজিয়াং অঞ্চলের তাকলামাকান মরুভূমিতে করেছিল।

১৯৮০ সালের পর থেকে এই প্রথম দেশটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরীক্ষামূলকভাবে আইসিবিএম ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৮০-এর মে মাসে চীন শেষবার প্রশান্ত মহাসাগরে আইসিবিএমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল। তখন সেটি ৯ হাজার ৭০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পড়েছিল।

ওই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় চীনের নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত ছিল। এটিকে চীনের অন্যতম সবচেয়ে বড় নৌ মিশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গত বছর এক প্রতিবেদনে পেন্টাগন জানিয়েছিল, তাদের হিসাবে চীনের অস্ত্রভান্ডারে ক্ষেপণাস্ত্র যোগে বহনযোগ্য ৫০০ কার্যকর পারমাণবিক বোমা আছে আর এগুলোর মধ্যে প্রায় ৩৫০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

২০৩০ সালের মধ্যে চীনের কাছে এক হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র যোগে বহনযোগ্য পারমাণবিক বোমা থাকতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, উভয়ের এ ধরনের মারণাস্ত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে