আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের একদফা টিভি বিতর্ক হয়ে গেছে। প্রার্থিতা থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলা হ্যারিস এখন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রচার চালাচ্ছেন। ট্রাম্পও পুরোদমে প্রচার করছেন। এই পরিস্থিতিতে এক হাজার ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলে 'এনবিসি' টিভি'র সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৪৮ শতাংশ মানুষ কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাইছেন। আর ৪০ শতাংশ চাইছেন ট্রাম্পকে। গত জুলাইয়ে কমলাকে চাইছিলেন ৩২ শতাংশ মানুষ। এবং ট্রাম্পকে ৩৮ শতাংশ। এনবিসি জানিয়েছে, জুলাই ও সেপ্টেম্বরের পরিস্থিতির মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখা দিয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি
এনবিসি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তিন শতাংশ পয়েন্ট। অন্যদিকে, সিবিএস'র জনমত সমীক্ষাতেও ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন কমলা। সেখানে কমলা হ্যারিস ৫২ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ ভোট পাবেন বলে জানানো হয়েছে। সিবিএসের দাবি, তাদের সমীক্ষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা হলো দুই শতাংশ পয়েন্ট। অর্থাৎ, ট্রাম্প বা কমলা দুই শতাংশ ভোট কম-বেশি পেতে পারেন। রয়টার্স-পিএসওএস যে জাতীয় সমীক্ষা করেছিল, তার সঙ্গেও এই দুই সমীক্ষার প্রবণতা মিলে যাচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প এই নিয়ে পরপর তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি একবার জিতেছেন, গতবার বাইডেনের কাছে হেরেছেন। তারপর তিনি পরাজয়ের জন্য জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও চলছে। ৫৯ বছর বয়সি কমলা হ্যারিস এখন ভাইস প্রেসিডেন্ট। কমলা জিতলে আমেরিকার ২৪৮ বছরের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
এনবিসিকে কুক পলিটিক্যাল রিপোর্টের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যামি ওয়ালটার বলেন, কমলা হ্যারিস লড়াইয়ের চরিত্রটা বদল করে দিতে পেরেছেন। আগে লড়াইটা ছিল বাইডেনের কাজের ওপর ভোট। এখন তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্পের ওপর গণভোট।
সিবিএস ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর তিন হাজার ১২৯ জন ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানাচ্ছে, আগস্টের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্প ও কমলা দুজনেই সমান জায়গায় আছেন। এবার তাদের সমীক্ষার ফল বলছে, কমলা দুই শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন।
এটাই শেষ, এবার হারলে আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না ট্রাম্প
এদিকে, নতুন ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে পরাজিত হলে আগামীতে আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। স্থানীয় সময় রোববার তিনি বলেন, নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে ২০২৮ সালের ভোটে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করেন না তিনি।
৭৮ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত এবারসহ টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন এবং গত আট বছরে দলটিকে ব্যাপকভাবে নতুন আকার দিয়েছেন। 'সিনক্লেয়ার' মিডিয়া গ্রম্নপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আসন্ন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের কাছে হেরে গেলে তিনি আরও একবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পূর্বাভাস দিতে পারেন কিনা। জবাবে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, 'না, আমি করব না। আমি মনে করি... এটাই (শেষবার) হবে। পুনরায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো বিষয় আমি একেবারেই দেখতে পাচ্ছি না।'