ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বিতর্কে সম্মতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তবে ট্রাম্প বিতর্কে অংশগ্রহণের ব্যাপারে 'সিএনএন'র আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কমলা হ্যারিসের প্রচারাভিযানের চেয়ারপারসন জেন ও'ম্যালি ডিলন এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিতর্কে সম্মত হতে কোনো সমস্যা হওয়া উচিত নয়। এটি একই বিন্যাস এবং সেটআপের মতো, সিএনএন বিতর্কে তিনি অংশ নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি জুন মাসে জিতেছিলেন এবং তিনি সিএনএন'র মডারেটর, নিয়ম ও রেটিংগুলোর প্রশংসা করেছিলেন।'
এক্স-এ এক পোস্টে কমলা লিখেছেন, 'আমি সানন্দে ২৩ অক্টোবর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট বিতর্কে অংশগ্রহণ করব। আমি আশা করি ডোনাল্ড ট্রাম্প আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।'
ট্রাম্প গত জুনে জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্ক করেছিলেন। ওই বিতর্কে বাইডেনের অবস্থান এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, এর জেরে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হয়। এরপর কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী করা হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক হয়। এতে ট্রাম্প খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
কমলা হ্যারিসের সিএনএন আমন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্পের একজন মুখপাত্র জানান, ট্রাম্পের আগের বিবৃতিগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, আর কোনো বিতর্ক হবে না।
এর কিছুক্ষণ পর, ট্রাম্প উত্তর ক্যারোলিনার উইলমিংটনে একটি সমাবেশে বক্তৃতা করেন। ট্রাম্প তাতে দাবি করেছেন, কমলা হ্যারিস আরেকটি বিতর্ক চান এ কারণে যে, তিনি হেরে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প বলেন, 'তিনি একটি বিতর্ক করেছেন, আমি দুটি করেছি। আরেকটি করার জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে, আমি অনেক উপায়ে করতে চাই, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে, ভোট দেওয়া হয়েছে, ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।'
উলেস্নখ্য, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে কোনো কোনো রাজ্যে সশরীরে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভার্জিনিয়া, সাউথ ডাকোটা ও মিনেসোটা।
আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটিতে নিজস্ব ভোটিং পদ্ধতি রয়েছে। পোস্টের মাধ্যমে বা সশরীর গিয়ে আগাম ভোট, নির্বাচনের দিন ভোট বা এই তিনটি উপায়ে সমন্বিত ভোট সব ধরনের পদ্ধতিই রয়েছে অঙ্গরাজ্যগুলোয়। দেশটির অনেক পরিবারের যত দ্রম্নত সম্ভব ভোট দিয়ে ফেলা পারিবারিক ঐতিহ্য বলেও বিবেচিত হয়। তথ্যসূত্র : সিএনএন