ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের একটি বহুতল ভবনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবারের (২১ সেপ্টেম্বর) এ হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ভবনের অনেক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখোভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'টেলিগ্রামে' জানিয়েছেন, রাশিয়া একটি 'গাইডেড বোমা' ব্যবহার করেছিল। ভবনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬০ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হামলাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা সক্রিয় আছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ শহরটি রাশিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই মস্কোর প্রায় নিয়মিত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে আছে শহরটি।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম সাসপিলনে জানিয়েছে, ভবনের একটি প্রবেশদ্বারের নিকটবর্তী গাছের ওপর বোমাটি পড়ে। এতে আশপাশের বেশকিছু গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং কয়েকটি বিস্ফারিত হয়। আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সাইনিয়েহুবোভ বলেছেন, আহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। শহরে মূলত দুটি হামলা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া খারকিভের দক্ষিণ-পূর্বের ইজিউম শহরে হওয়া অপর এক হামলায় দুটি বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। এর আগে শুক্রবার, খারকিভে রুশ বাহিনীর চালানো তিন হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছিলেন। গভর্নর আরও জানিয়েছেন, শনিবার দক্ষিণের শহর নিকোপোলে চালানো ড্রোন হামলায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন।
রাশিয়ার ৭১টি রুশ ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের
এদিকে রাশিয়ার ছোড়া ৭১টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। রোববার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এমন দাবি করেছে। শনিবার রাতে ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়া ৮০টি ড্রোন উড়িয়েছিল। এর মধ্যে ৭১টি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'টেলিগ্রামে' বাহিনীটি বলেছে, নিরপেক্ষ করার পর রাশিয়ার আরও ছয়টি ড্রোন হারিয়ে গেছে।
বিমানবাহিনী আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের দখলকৃত অংশ থেকে দুটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রের ভূখন্ডে আঘাত হেনেছে নাকি সেগুলোকে প্রতিহত করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এর আগে রাশিয়া শীতের আগে ইউক্রেনের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্সে' ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা লিখেছেন, 'ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের মতে, ক্রেমলিন শীতের আগে ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।' তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মস্কো।