আজকের যায়যায়দিন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মনোভাব প্রকাশ করে, এমন ৪৭টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে মস্কো। এই তালিকায় আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো ৪৭টি দেশ রয়েছে, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ইইউ এবং ন্যাটো দেশও রয়েছে। তবে, তালিকায় ইইউ এবং ন্যাটো সদস্য স্স্নোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির পাশাপাশি ন্যাটো সদস্য তুরস্কের নাম নেই। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, এএফপি

রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন 'ধ্বংসাত্মক মনোভাব' আছে- এমন দেশের তালিকা শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুমোদন করেছেন। এই তালিকাকরণের বিষয়টি এসব দেশের ভিন্ন মতাবলম্বীদের রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের সুযোগ দেবে।

দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, বাহামা, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, গ্রিস, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, কানাডা, সাইপ্রাস, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লিখটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মাইক্রোনেশিয়া, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও পোল্যান্ড। এছাড়া পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, সান মারিনো, উত্তর মেসেডোনিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, মন্টেনেগ্রো, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, এস্তোনিয়া ও জাপান।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন গত আগস্টে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। যেখানে বলা হয়, যেসব বিদেশি রাশিয়ার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং নিজ নিজ দেশের সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নব্য উদারতাবাদের বিরোধিতা করেন, তারা রাশিয়া আশ্রয়লাভের আবেদন করতে পারবেন।

এরপর শুক্রবার রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সব দেশের তালিকা প্রকাশ করেন, যেগুলো রাশিয়ার মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শ এবং ধ্বংসাত্মক নব্য উদারতাবাদী ভাবাদর্শ লালন করে। তালিকাটি রাশিয়ার সরকারের বিভিন্ন পোর্টালে প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার

এদিকে, এক রাতেই ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে রাশিয়া। শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এই ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় 'টেলিগ্রামে' এক পোস্টে জানিয়েছে, ১০১টি ইউক্রেনীয় 'ফিক্সড-উইং ইউএভি ড্রোন' ধ্বংস করা হয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ড্রোনের হামলা প্রতিহত করেছে। ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে ৫৩টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আর ক্রিমিয়ার ক্রাসনোদার শহরের ওপর ১৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ওই অঞ্চলটি দখল করে নেয় রাশিয়া।