বললেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতের মণিপুরে প্রতিবেশী দেশ থেকে ঢুকেছে ৯০০ যোদ্ধা
এসব যোদ্ধা মিয়ানমারে জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং তারা অস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করছে
প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতিগত সংঘর্ষে উত্তাল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্য। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে এই সংঘর্ষে এরই মধ্যে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বিগত কয়েক মাস রাজ্যটি সাময়িকভাবে শান্ত থাকলেও, চলতি মাসের শুরু থেকে একের পর এক সহিংস সংঘর্ষের জেরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এবার ড্রোন ও রকেট দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে যুদ্ধে প্রশিক্ষিত ৯০০ কুকি যোদ্ধা রাজ্যটিতে ঢুকে পড়েছে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
এবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে সেই গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, তারা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেয়েছেন, যেখানে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও ড্রোনসহ যুদ্ধে প্রশিক্ষিত ৯০০ কুকি যোদ্ধা প্রবেশের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের কুলদীপ সিং বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, এসব যোদ্ধা মিয়ানমারে জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং তারা অস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করছে।
কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব যোদ্ধা ৩০ জনের গ্রম্নপে ভাগ হয়ে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। তারা চলতি মাসের শেষদিকে মেইতিইদের গ্রামে বেশ কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে। এই গোয়েন্দা তথ্য ১০০ শতাংশ সত্য বলে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে চলমান অস্থিরতার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলে আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন. বিরেন সিং। মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানাতে গত সোমবার ইম্ফলে সংবাদ সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ সময় প্রমাণ হিসেবে সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া একজন বিদেশির কথা উলেস্নখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সহিংসতার ঘটনায় সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আসাম রাইফেলস। ওই ব্যক্তি কুকি ন্যাশনাল আর্মির (বার্মা) সদস্য এবং মিয়ানমানের নাগরিক বলে জানা যায়।