ভারতের পশ্চিমবঙ্গ আপাতত জরুরি চিকিৎসা সেবা দেবেন চিকিৎসকরা
প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা টানা ৪১ দিন পর কাজে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
আপাতত শনিবার থেকে আংশিকভাবে জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আগস্টে ৩১ বছর বয়সি নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের অধিকতর নিরাপত্তা ও নিহত সহকর্মীর জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামেন, ডাক দেন কর্মবিরতির।
রাজ্যের প্রায় সাত হাজার চিকিৎসকের প্রতিনিধিত্বকারী 'পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট' বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জরুরি পরিষেবা দেওয়া শুরু করবেন।
ফ্রন্টের নেতা অনিকেত মাহাতো বলেন, 'প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন চলবে, তবে রাজ্যের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমরা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বেশ কিছু দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দেন মুখ্যসচিব। মন্ত্রণালয় থেকে 'অন ডিউটি' রুমে সিসিটিভি, প্যানিক অ্যালার্ম, হেল্পলাইন চালুর নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে বলে জানায়।
নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও মৃতু্যর ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া প্রমাণ লোপাট ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে। পাশাপাশি বদলি করা হয়েছে কলকাতার পুলিশ প্রধানকে।
২০১২ সালে ভারতের রাজধানী দিলিস্নতে ২৩ বছর বয়সি এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর দোষীদের শাস্তি দিতে দেশটিতে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপরও থেমে নেই
ধর্ষণ, হত্যা।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, কলকাতার ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, দেশটির নারীরা কীভাবে প্রতিনিয়ত যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ