সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার নথি হ্যাক করে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের প্রচার শিবিরের কাছে পাঠিয়েছিলেন ইরানের হ্যাকাররা। সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। আমেরিকার একাধিক তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি হলো তেহরানের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টার একটি নিদর্শন। তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রচারের যেসব নথিপত্র গোপন বলে চিহ্নিত করা ছিল, সেগুলো হ্যাক করে বাইডেনের প্রচারের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কাছে ই-মেইল করে পাঠানো হয়েছিল। তবে ডেমোক্রেট শিবির ওই ই-মেইলের কোনো জবাব দেননি বলে জানানো হয়েছে। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স
ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স, এফবিআই, সাইবার সিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির অভিযোগ, তেহরান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়া ও চীনও তাদের স্বার্থে আমেরিকায় বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত জুন মাসের শেষ থেকে জুলাই মাসের প্রথম দিকে ইরানের হ্যাকাররা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কিছু তথ্য চুরি করে। শুধু তাই নয়, চুরি করা তথ্যগুলো তারা কিছু অযাচিত ই-মেইলের মাধ্যমে বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সংস্থা 'মেটা' গত আগস্টে জানিয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করেছে ইরানের একদল হ্যাকার। মেটা জানিয়েছিল, ওই হ্যাকাররা নিজেদের গুগল ও মাইক্রোসফটের কর্মী পরিচয় দিয়ে এই কাজ করার চেষ্টা করেছিল। তারা বলেছিল, কোনো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে সতর্ক থাকেন, এ জন্য তারা প্রকাশ্যে এই হ্যাক করার চেষ্টার কথা জানাচ্ছে।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হস্তক্ষেপের চেষ্টা আরও বাড়তে পারে। ব্র্যাড স্মিথ জানিয়েছেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় আসবে নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে।
আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দুইজনেই অভিযোগ করেছেন, হ্যাকাররা তাদের টার্গেট করেছে।
