বড় পরিসরে আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা আবারও বাড়তে শুরু করেছে
দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত গাজা :হামাসপ্রধান
প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেছেন, ইরান-সমর্থিত আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় আরও প্রায় এক বছর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপকরণ হামাসের কাছে আছে। গত সোমবার এ কথা বলেন তিনি।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর গত মাসে তার স্থলাভিষিক্ত হন সিনওয়ার। ইয়েমেনি মিত্রদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, 'সর্বশক্তি নিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি।'
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ প্রায় এক বছর হতে চলেছে। সেখানকার চিকিৎসক ও উদ্ধারকারীরা গত সোমবার বলেছেন, ওইদিনও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের এক সতর্কবার্তার পর ওই হামলার ঘটনা ঘটে। সতর্কবার্তায় তিনি বলেছিলেন, লেবাননের হিজবুলস্নাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা ম্স্নান হয়ে আসছে। তবে বড় পরিসরে আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
গ্যালান্ট গত সপ্তাহে হামাসের উদ্দেশে বলেন, গাজায় সামরিক কাঠামোয় এটির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে হামাসপ্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজার ভেতর এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ১১ মাসের বেশি চলা যুদ্ধ শেষে শত্রম্নপক্ষের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ভেঙে দেবে।
সিনওয়ার বলেন, 'আপনাদের (হুতি) এবং লেবানন ও ইরাকের গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই শত্রম্নকে বিনাশ করবে এবং তাদের পরাজয় নিশ্চিত করবে।'
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। এ চুক্তির উদ্দেশ্য, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা।
কয়েক দশকের পুরনো ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নতুন করে রক্তপাতের সূত্রপাত হয় গত ৭ অক্টোবর। সেদিন ইসরাইলের ভেতরে নজিরবিহীন হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। ইসরাইলের দাবি, হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় তান্ডব চালাচ্ছে ইসরাইল। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। অন্যদিকে উপত্যকাটির ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় সবাই এক বা একাধিকবার বাস্তুচু্যত হয়েছেন। সেখানে খাদ্যসংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে।