প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছি আর কী করব :মমতা

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার ছিল এর সপ্তম দিন। একটা সমাধানে পৌঁছাতে সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। তথ্যসূত্র : ডিডাবিস্নউ নিউজ, এবিপি বৈঠক শেষে মমতা বললেন, চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে মঙ্গলবারই সরানো হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকেও অপসারণ করা হচ্ছে। তিনজনকেই অন্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে। মমতা জানান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবিই তারা মেনে নিয়েছেন। এবার আশা করছেন, আন্দোলনকারীরা কাজে ফিরবেন। মমতার কথায়, '৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি। আর কী করব!' তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচটি দাবির প্রথমটি সিবিআই ও আদালতের বিষয়। বাকি চারটির মধ্যে তিনটিতে সায় দিয়েছে তার সরকার। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অভিষেক গুপ্তকেও সরানো হচ্ছে। সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশিস হালদারকেও। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের উদ্দেশে মমতার বার্তা- 'পিস্নজ, এবার কাজে ফিরুন।' আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, 'আন্দোলনকারীদের কাছে নতি স্বীকার করল রাজ্য সরকার। ৩৮ দিন পর আমাদের জয় হয়েছে। এ জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স- সবার। সবাই পাশে না থাকলে এই জয় সম্ভব ছিল না। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ।' তিনি আরও বলেন, 'আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেব।' এদিকে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত আরজি করের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার দেবদূত ভদ্র বলছেন, 'আজকের (মঙ্গলবার) শুনানি যথেষ্ট সন্তোষজনক। আইনজীবী আমাদের সমস্যা যথাযথভাবে আদালতে তুলে ধরেছেন। আমরা পরে সিদ্ধান্ত জানাব। তবে আরজি করে যা যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার সবটা এখনো হয়নি। পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি কিংবা নিরাপত্তারক্ষী এখনো মোতায়েন হয়নি। আমরা চাই সেগুলো দ্রম্নত করা হোক।'