আজকের যায়যায়দিন

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ভোটের আগে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেবেন না। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স, ডিডাবিস্নউ নিউজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। দুই দিন আগেই কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প 'এবিসি' টিভি চ্যানেলের বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বিতর্ক সরাসরি দেখেছেন ছয় কোটি ৭১ লাখ মানুষ। তারপর দুজনেই তাদের প্রচারে ফিরে গেছেন। বিশেষ করে যেসব অঙ্গরাজ্যে প্রবল লড়াই হতে পারে, সেখানে দুজনে প্রচারে জোর দিয়েছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প দাবি করেছেন, কমলার সঙ্গে টিভি বিতর্কে তিনিই জিতেছেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি বলেছেন, তৃতীয় কোনো বিতর্ক হবে না।

ট্রাম্প প্রথমে বাইডেনের সঙ্গে টিভি বিতর্কে অংশ নেন। তখন বাইডেনই প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট প্রার্থী ছিলেন। সেই বিতর্কে বাইডেনের 'পারফরম্যান্স' শোচনীয় ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এবং যার জেরে তিনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। তারপর এখন ডেমোক্রেট প্রার্থী হয়েছেন কমলা হ্যারিস। তার সঙ্গে একবারই মুখোমুখি বিতর্কে নেমেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবি করেছেন, জরিপের ফল অনুযায়ী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে তিনিই বিতর্কে জিতেছেন। ট্রাম্পের পোস্টের কিছুক্ষণ পর এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা বলেছেন, 'ভোটারদের জন্য আমাদের মধ্যে আরেকটি বিতর্ক হওয়ার দরকার বলে আমি মনে করি।' কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন, লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর প্রথম কথাটা পরাজিত মানুষ বলেন, আমি আবার লড়তে চাই।

ট্রাম্প এখন অ্যারিজোনায় প্রচার করছেন। এই অঙ্গরাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। দুই প্রার্থীই এখান থেকে জয়ের আশা করছেন। সেখানে বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প বলেছেন, যদি নভেম্বর মাসের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেন, তাহলে কর ছাঁটাই করবেন। সেক্ষেত্রে ওভারটাইমের ওপর কর তুলে নেওয়া হবে।

নর্থ ক্যারোলিনায় এক জনসভায় কমলা হ্যারিস বলেছেন, 'দুই রাত আগে আমি ও ট্রাম্প প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, ভোটদাতাদের জন্য আরেকটি বিতর্কে আমরা দায়বদ্ধ। নর্থ ক্যারোলিনাও হচ্ছে সুইং স্টেট, যেখানে দুই প্রার্থীই জয়ের আশা করছেন।'

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা এই দুই প্রার্থী গত মঙ্গলবার রাতে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারপর বেশ কয়েকটি জনমত জরিপের ফলে দেখা গেছে, ওই বিতর্কে কমলার জয় হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প তা মানতে নারাজ।

মার্কিন গণমাধ্যম দর্শক পরিমাপ সংস্থা 'নিলসেন'র তথ্য অনুযায়ী ছয় কোটি ৭১ লাখ টেলিভিশন দর্শক কমলা ও ট্রাম্পের বিতর্ক দেখেছে। জনমত জরিপে বিতর্কে তিনি (ট্রাম্প) জিতেছেন বলে দেখিয়েছে, নিজের পোস্টে এমন দাবি করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগই মনে করছেন, বিতর্কে কমলা ভালো করেছেন।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা 'রয়টার্স' ও জরিপ সংস্থা 'ইপসোস'র প্রকাশ করা জরিপে দেখা গেছে, মঙ্গলবারের বিতর্ক কিছুটা হলেও শুনেছেন এমন ভোটারদের ৫৩ শতাংশ বলেছেন কমলা জিতেছেন আর ২৪ শতাংশ বলেছেন ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন।

এই জরিপে উঠে এসেছে, ৫৪ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার মনে করেন ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে অনুষ্ঠিত ওই একটি বিতর্কই যথেষ্ট, অপরদিকে ৪৬ শতাংশ আরেকটি বিতর্ক চান। বিতর্ক দেখেছেন এমন অধিকাংশ জনই বলেছেন, বিতর্কে কমলা ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন।