ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যটির তিনটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। যদিও এর আগে সেখানে কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে শিথিলের আদেশ বাতিল করে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ফের কারফিউ জারি করা হয়। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সহিংসতায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুইজন। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। তথ্যসূত্র : ইনডিয়া টুডে, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব ও ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহতি, ২০২৩-এর ১৬৩ ধারার অধীনে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের ডিজিপি এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভের পরিকল্পনা করার পরিপ্রেক্ষিতে ইম্ফলের দুটি জেলায় কারফিউয়ের এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে, সোমবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে মণিপুরের রাজভবন ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। এ সময় ডিসি অফিসে টানানো পতাকা নামিয়ে সাতরঙা একটি পতাকা উড়িয়ে দেয় তারা। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজভবন ও থৈবালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।
একইভাবে, থাউবালে সোমবার আয়োজিত ছাত্র বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠার পর সেখানেও বাইরে বের হওয়া ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত সোমবার ওই বিক্ষোভের মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অস্থিরতার মধ্যে সোমবার রাজ্যের সব স্কুল ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের স্কুল এডুকেশনের ডিরেক্টর।