ভারতের রাজনীতিতে ভালোবাসা সম্মান-নম্রতা নেই :রাহুল
প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারতীয় রাজনীতিতে ভালোবাসা, সম্মান এবং নম্রতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। একইসঙ্গে ভারতকে 'একক ধারণার' দেশ হিসেবে বিশ্বাস করার জন্য কট্টরপন্থি গোষ্ঠী আরএসএসের সমালোচনাও করেন তিনি। সর্বশেষ নির্বাচনে লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হওয়ার পর আমেরিকার ডালাসে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার বক্তব্য দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনডিয়ান কমিউনিটির সামনে দেওয়া বক্তৃতায় আরএসএসের সঙ্গে কংগ্রেসের আদর্শগত ফারাকের কথা উলেস্নখ করে রাহুল বলেন, 'আরএসএস বিশ্বাস করে ভারত আসলে একটি ধারণা। আর আমরা মনে করি, ভারত হলো বহু ধারণার সমন্বয়।' নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ভারতের ভাষাগত, ধর্মীয় এবং জাতিগত বৈচিত্র্যের কথাও উলেস্নখ করেন লোকসভার বিরোধীদলীয় এই নেতা। তিনি বলেন, 'আমেরিকার মতো, আমরা বিশ্বাস করি- প্রত্যেককে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেককে স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেওয়া উচিত এবং জাতি, ভাষা, ধর্ম, ঐতিহ্য, ইতিহাস নির্বিশেষে প্রত্যেককে তাদের স্থান দেওয়া উচিত।'
রাহুল বলেন, 'এটাই হচ্ছে লড়াই। নির্বাচনে লড়াইটি পরিষ্কার হয়ে যায়, যখন ভারতের লাখ লাখ মানুষ স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সংবিধানকে আক্রমণ করছেন। কারণ আমি আপনাকে যা বলছি তা হলো- রাষ্ট্রের মিলন, ভাষার প্রতি সম্মান, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা, বর্ণের প্রতি শ্রদ্ধা। এই সবই সংবিধানে আছে।'
কংগ্রেস নেতা বলেন, 'লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর কয়েক মুহূর্তেই আমরা দেখলাম, ভারতের কেউ আর বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পাচ্ছেন না।' রাহুল এটাও দাবি করেন, লোকসভা ভোটের ফলে তার নিজের কিংবা কংগ্রেসের জয় হয়নি, মানুষের ইচ্ছার জয় হয়েছে।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বারবার দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার কথা জানিয়েছিলেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'আমি সংবিধানকে তুলে ধরেছিলাম। মানুষ বুঝতে পেরেছিল, আমি কী বলতে চেয়েছিলাম।'
প্রসঙ্গত, তিন দিনের সফরে আমেরিকা গেছেন রাহুল। তার সঙ্গে রয়েছেন 'ইনডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস'র চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদাও। ডালাসে রায়বেরেলির এমপির প্রশংসা করে পিত্রোদা বলেন, রাহুল পাপ্পু নন, তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত। যে কোনো বিষয় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে পারেন। খুব ভালো রূপরেখা তৈরি করতে পারেন। তাকে বোঝা সহজ নয়।