রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
রাশিয়ায় ইরানের 'সম্ভাব্য' ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা
ইউক্রেনে বড় ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া
প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়ায় ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলে ইউক্রেন সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দুই দেশের সামরিক অংশীদারিত্ব দৃঢ় হচ্ছে, এমন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট বলেছেন, 'ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর থেকেই আমরা রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ সামরিক অংশীদারিত্ব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। রাশিয়াকে ইরান অস্ত্র দেওয়ার মানে হচ্ছে, ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনকে সমর্থন করা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।'
আগস্টের এক প্রতিবেদনে 'রয়টার্স' জানিয়েছিল, ইরানের পক্ষ থেকে কয়েকশ 'ফাথ-৩৬০' স্বল্প পালস্নার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে পারে রাশিয়া। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রুশ বাহিনীর অনেক সদস্য ইরানে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম 'ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল' শুক্রবার জানিয়েছে, রাশিয়ায় স্বল্প পালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছে ইরান। এদিকে, সম্ভাব্য অস্ত্র সরবরাহ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্য এক মার্কিন কর্মকর্তা।
আমেরিকা ও তার মিত্ররা কিছুদিন আগেই সতর্ক করেছিল, ইরান এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিলে তার ফল হবে মারাত্মক। এরপরই সম্ভাব্য অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে অস্বস্তি দেখা দিল। সাম্প্রতিক মাসে ইরান ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন ইসু্যতে তেহরানের নৈতিক অবস্থান অপরিবর্তিত আছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি। নিউইয়র্কে শুক্রবার এক বক্তব্যে বলেছেন, 'যুদ্ধরত কোনো পক্ষকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া ইরান সমর্থন করে না। এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ, যা মানবিক বিপর্যয় ও অবকাঠামোগত ক্ষতির ব্যাপকতা বৃদ্ধি করে এবং সম্ভাব্য সমঝোতার পথ দুর্গম করে- তেহরান তেমন নিষ্ঠুরতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবে না। অন্যদেরও আহ্বান জানাবো, যেন তারা যুদ্ধরত কোনো পক্ষকেই সামরিক সহায়তা প্রদানে বিরত থাকে।'
ইউক্রেনে বড় ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া
ইউক্রেনে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার মোট ৬৭টি দীর্ঘ পালস্নার 'শাহেদ' ড্রোন ছোড়ে মস্কো। তবে এর মধ্যে ৫৮টিকে ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় ইউক্রেনজুড়ে ১১ অঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট স্বক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
দেশটির রাজধানী কিয়েভে পার্লামেন্ট ভবনের পাশে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এ সম্পর্কিত বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। তবে কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। কারণ রাজধানীটি সোভিয়েত আমলের নেটওয়ার্ক ও পশ্চিমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ঘেরা। 'টেলিগ্রামে' পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, পার্লামেন্ট ভবনের কাছে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অন্তত চারটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ। এর আগে রাশিয়ায় দীর্ঘ পালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।