ঘুষের মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান মার্চান শুক্রবার সাজা ঘোষণার দিন ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। ঘুষ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর, যা এখন ২৬ নভেম্বর করা হয়েছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, এএফপি
নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প তার আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন সাজা ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। বিচারক মার্চান বলেন, এই মামলা জাতির ইতিহাসে একটি অনন্য স্থানে রয়েছে, যা এর জটিলতা বাড়িয়েছে। বিচারক আরও বলেন, সাজা প্রদানের তারিখ স্থগিত করা হয়েছে, যাতে কোনো রকম ধারণা না জন্মায় যে, বিচারিক প্রক্রিয়াটি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বা তা প্রভাবিত করতে চায়। আদালত একটি ন্যায্য, নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
তবে বিচারক রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এড়ানোর কথা বললেও ট্রাম্পের সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের চিন্তা ট্রাম্পকে জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থানের ভিত্তিতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন ট্রাম্পের বিরোধী পক্ষও। তারা বলছেন, আদালতের এ ধরনের চিন্তা ট্রাম্পকে জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
তবে ট্রাম্প উল্টো অভিযোগ করে বলেছেন, এই মামলার কারণে তার নির্বাচনী প্রচারণায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'ট্রুথ সোস্যালে' তিনি লেখেন, 'এই মামলা বাতিল করা উচিত। কারণ আমরা এখন ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।'
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার হাতে এই অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। এ সংক্রান্ত মামলায় তার বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়, যার সব কটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্টকে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।