ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কয়েকটি ফৌজদারি মামলা করার কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে সংগঠনটির নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পরিকল্পনা, সমর্থন ও তা সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ওই হামলা সংঘটিত করায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছাড়াও হামাসের অন্তত পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলায় ৪০ জনের বেশি মার্কিনসহ ১ হাজার ২০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি ইসরাইলের।
৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তান্ডব শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, বিবাদী ব্যক্তিরা ইরান সরকারের অস্ত্র, সমর্থন ও অর্থায়নে এবং হিজবুলস্নাহর সহযোগিতায় ইসরাইলের ধ্বংস সাধন এবং বেসামরিক লোকজনকে হত্যায় হামাসের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
হামাসের ওই ছয় নেতার মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন। যে তিন নেতা জীবিত আছেন, তাদের মধ্যে সিনওয়ার ছাড়া অপর দুজন হলেন খালেদ মেশাল ও আলী বারাকা। হামাসপ্রধান সিনওয়ার গাজায় আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খালেদ মেশাল কাতারের দোহায় থাকেন এবং হামাস বৈদেশিক শাখার নেতৃত্ব দেন। আর হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলী বারাকা লেবাননে থাকেন।
আর যে তিন নেতা মারা গেছেন, তারা হলেন হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, সংগঠনের সামরিক শাখার সাবেক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ও উপসামরিক কমান্ডার মারওয়ান ঈসা। গত জুলাইয়ে ইরানের তেহরানে হামলায় নিহত হন হানিয়া। ইসরাইল বলেছে, দেইফকে জুলাইয়ে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে মার্চে আরেক ইসরাইলি হামলায় নিহত হন মারওয়ান।
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান। যদিও এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি তারা।
মার্কিন বিচার বিভাগীয় একজন কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, কৌঁসুলিরা গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে ওই ছয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তবে হানিয়াকে হাতেনাতে ধরার আশায় অভিযোগ প্রকাশ্যে আনা হয়নি। হানিয়া নিহত হওয়ার পর ওই অভিযোগ এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচার বিভাগ।