ভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিমান জব্দ করেছে আমেরিকা
প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর একটি বিমান জব্দ করেছে আমেরিকা। বিমানটি 'ফ্যালকন ৯০০ইএক্স' মডেলের এবং ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে আমেরিকা এটি জব্দ করে।
আমেরিকা দাবি করেছে, বিমানটি ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে অবৈধভাবে কেনা হয়েছিল এবং পরে সেটি পাচার করা হয়।
মার্কিন বিচার বিভাগ অনুসারে, ফ্যালকন ৯০০ইএক্স মডেলের এই বিমানটি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে জব্দ করা হয় এবং পরে সেটি আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অবশ্য কীভাবে এবং কখন বিমানটি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্র্যাকিং ডেটায় দেখা গেছে, সোমবার রাজধানী সান্টো ডোমিঙ্গোর কাছে 'লা ইসাবেলা' বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে বিমানটি ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
ভেনেজুয়েলা এই জব্দের নিন্দা করে বলেছে, এটি 'জলদসু্যতার' কাজ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল বলেছেন, 'আমেরিকা বিশ্বজুড়ে একতরফাভাবে এবং অবৈধভাবে চাপিয়ে দেওয়া জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে' নিজের কাজের ন্যায্যতা দিয়েছে।'
এক বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলা সরকার বলেছে, তারা 'জাতির এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।'
অন্যদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে বিমানটি আটক করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মাদুরোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন ২০২২ সালের শেষের দিকে এবং ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ফ্লোরিডাভিত্তিক একটি কোম্পানির কাছ থেকে বিমানের বেআইনি ক্রয়ের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আড়াল করার জন্য ক্যারিবিয়ানভিত্তিক 'শেল' কোম্পানি ব্যবহার করেছিলেন। এরপর বিমানটি ২০২৩ সালের এপ্রিলে আমেরিকা থেকে ক্যারিবিয়ান হয়ে ভেনেজুয়েলায় অবৈধভাবে রপ্তানি করা হয়।
মার্কিন কর্মকর্তাদের যুক্তি, বিমানটির বিক্রয় এবং রপ্তানি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট মাদুরো বারবারই তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য আমেরিকাকে অভিযুক্ত করে এসেছেন। তথ্যসূত্র : বিবিসি