নিহত ৪৯ নবীন সেনা
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা
যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এসব সেনার শূন্যস্থান দ্রম্নতই পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের দীর্ঘসময় প্রশিক্ষণ দিতে হয়
প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ইউক্রেনের পোলাতাভার একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৪৯ জন নিহত এবং প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে স্বল্পপালস্নার দুটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র। তথ্যসূত্র : বিবিবি, সিএনএন
ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের সতকর্তামূলক সাইরেন বেজে ওঠার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানে। এতে করে সেখানকার মানুষ বোমা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার সময় পাননি।
রাশিয়ার কয়েকজন যুদ্ধ বস্নগার 'টেলিগ্রামে' জানিয়েছেন, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তারা সেনাবাহিনীর ক্যাডেট। 'রায়বার' নামের একটি চ্যানেলে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন ইউক্রেনের 'যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ' নবীন সেনারা। রায়বারে আরও বলা হয়েছে, এসব সেনার শূন্যস্থান দ্রম্নতই পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের দীর্ঘসময় প্রশিক্ষণ দিতে হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভবন ধসে পড়ে সেগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, 'অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ১৮০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৪১ জনের মৃতু্যর তথ্য জানতে পেরেছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।'
পুরো ইউক্রেনে যুদ্ধ চললেও পোলতোভা অনেকটাই শান্ত ছিল। সেখানে এত বড় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে, সাধারণ মানুষের এ নিয়ে ধারণা কম ছিল। পোলতোভায় হামলার পর রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলা নিয়ে বেশ কিছু অসমর্থিত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, হামলার সময় সেখানে সেনাদের প্যারেড হচ্ছিল।
এই হামলা এমন সময় ঘটল, যার একদিন আগে পোল্যান্ড বলেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে একটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনুদান হিসেবে দিতে খসড়া আইন অনুমোদন করেছে রোমানিয়ার জোট সরকার। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এই খসড়া আইনের অনুমোদন দেয় দেশটি। এখন তা চূড়ান্ত ভোটের জন্য দেশের পার্লামেন্টে পাঠানো হবে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের মুখপাত্র মিহাই কনস্টানটিন বলেছেন, ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনুদানে সক্ষম বিলটি দ্রম্নত পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টের অনুমোদনের পর
প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রম্নত ইউক্রেনে পাঠানো হবে।
২০০৪ সাল থেকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রোমানিয়া। দেশটির সঙ্গে ইউক্রেনের ৬৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।